ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ইসমাইল আজওয়াই অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পেরেছেন। মঙ্গলবার তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করা শুরু করে দিয়েছেন।
সামাজিকমাধ্যমে বন্ধুর রাজনৈতিক মন্তব্যের জেরে তাকে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠালে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।-খবর এএফপির
ইতিমধ্যে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক সংগঠন অ্যামিডইস্ট দাবি করেছে, সোমবার ওই শিক্ষার্থী বোস্টনের লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেছেন।
এর আগে এখানেই তাকে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লেবাননে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে তার পরিবার বলছে, গত ১০ দিন আমাদের ওপর দিয়ে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা গেছে। দুশ্চিন্তা গ্রাস করে বসেছিল সবাইকে। লাখ লাখ মানুষের সমর্থন পাওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।
বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হার্ভার্ড। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইসমাইল এখন ক্যাম্পাসে। মঙ্গলবার থেকে তাদের সেশন শুরু হবে।
অ্যামিডইস্ট জানিয়েছে, বৈরুতে মার্কিন দূতাবাস তার ঘটনাটি পর্যালোচনা করে ফের ভিসা ইস্যু করেছে।
এর আগে লেবাননে বাস করা ইসমাইল আজওয়াই বলেন, লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার তাকে যখন আট ঘণ্টা জেরা করা হয়, তখন তার ধর্ম নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের সংবাদমাধ্যম দ্য হার্ভার্ড ক্রিমসনে দেয়া বিবরণে তিনি বলেন, পাঁচ ঘণ্টা তার ব্যক্তিগত ফোন ও ল্যাপটপে তল্লাশি করার পর এক কর্মকর্তা তাকে একটি কক্ষে নিয়ে ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।
তিনি বলেন, ওই নারী কর্মকর্তা বলেন- তিনি দেখেছেন, আমরা বন্ধু তালিকায় কেউ এমন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পোস্ট করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী।
১৭ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধুর ওই মন্তব্যের তিনি বিরোধিতা করেছেন। তিনি নিজে কখনও রাজনৈতিক মতামত পোস্ট করেননি। তথাপি তার ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।