ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জার্মানিতে ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও দেখে যৌন নিপীড়কদের সাজা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দশ বছরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশু ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত।

ডয়েচ ভেলে বাংলা জানায়, যৌন নিপীড়ক এই দুই ব্যক্তির কাছে ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও পাওয়া গেছে।

সেগুলো দেখে এবং ৩৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এই দুই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে জার্মানির এক আঞ্চলিক আদালত৷

জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছরে ল্যুডগে শহরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন চালায় আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. নামের দুই ব্যক্তি।

দুই ব্যক্তিই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত আন্দেয়াসকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ডেটমোল্ডের আদালত। অন্য আসামি মারিয়োকে দেওয়া হয়েছে ১২ বছরের কারাদণ্ড।

তবে সাজার মেয়াদ শেষেও সমাজের জন্য যদি তাদের বিপজ্জনক মনে করা হয় তাহলে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে থাকতে হতে পারে এই দুজনকে।

ছোট্ট শহর ল্যুডগের এক ক্যাম্পসাইটে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন এই দুই ব্যক্তি। আন্দ্রেয়াস এক শিশুকন্যাকে পেলে-পুষে বড় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পালক কন্যাকে দিয়েই ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে আসা হতো ক্যাম্পসাইটটিতে।

আন্দ্রেয়াস আর মারিও ওই শিশুদের ভুলিয়ে ভালিয়ে যৌন লালসা মেটাতেন। যৌন নিপীড়নের ছবি আর ভিডিও সংগ্রহ করে রেখে দিতেন তারা।

১০ দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় বিচারক আনকে গ্রুড্ডা ৩২ জন শিশুকে স্রেফ যৌন লালসার বস্তু বানিয়ে তাদের শৈশব ধ্বংস করে দেওয়ায় আসামিদের ভর্ৎসনা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম বড় শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা এটি।

দোষীদের কঠোর সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশুদের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিশনার ইয়োহানেস-ভিলহেম রোরিগ।

তিনি বলেন, “ডেটমোল্ডের আদালত দোষীদের সর্বোচ্চ সাজাই দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে এই সমাজকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, শিশুদের সঙ্গে এমন অপরাধ করলে অপরাধীর কঠোর সাজা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জার্মানিতে ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও দেখে যৌন নিপীড়কদের সাজা

আপডেট টাইম : ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দশ বছরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশু ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত।

ডয়েচ ভেলে বাংলা জানায়, যৌন নিপীড়ক এই দুই ব্যক্তির কাছে ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও পাওয়া গেছে।

সেগুলো দেখে এবং ৩৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এই দুই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে জার্মানির এক আঞ্চলিক আদালত৷

জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছরে ল্যুডগে শহরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন চালায় আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. নামের দুই ব্যক্তি।

দুই ব্যক্তিই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত আন্দেয়াসকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ডেটমোল্ডের আদালত। অন্য আসামি মারিয়োকে দেওয়া হয়েছে ১২ বছরের কারাদণ্ড।

তবে সাজার মেয়াদ শেষেও সমাজের জন্য যদি তাদের বিপজ্জনক মনে করা হয় তাহলে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে থাকতে হতে পারে এই দুজনকে।

ছোট্ট শহর ল্যুডগের এক ক্যাম্পসাইটে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন এই দুই ব্যক্তি। আন্দ্রেয়াস এক শিশুকন্যাকে পেলে-পুষে বড় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পালক কন্যাকে দিয়েই ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে আসা হতো ক্যাম্পসাইটটিতে।

আন্দ্রেয়াস আর মারিও ওই শিশুদের ভুলিয়ে ভালিয়ে যৌন লালসা মেটাতেন। যৌন নিপীড়নের ছবি আর ভিডিও সংগ্রহ করে রেখে দিতেন তারা।

১০ দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় বিচারক আনকে গ্রুড্ডা ৩২ জন শিশুকে স্রেফ যৌন লালসার বস্তু বানিয়ে তাদের শৈশব ধ্বংস করে দেওয়ায় আসামিদের ভর্ৎসনা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম বড় শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা এটি।

দোষীদের কঠোর সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশুদের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিশনার ইয়োহানেস-ভিলহেম রোরিগ।

তিনি বলেন, “ডেটমোল্ডের আদালত দোষীদের সর্বোচ্চ সাজাই দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে এই সমাজকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, শিশুদের সঙ্গে এমন অপরাধ করলে অপরাধীর কঠোর সাজা হবে।