বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ইংল্যান্ডে চলছে অ্যাসেজ সিরিজ। জয়ের সুবাতাস বইছে অস্ট্রেলিয় শিবিরে। স্টিভেন স্মিথের অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি উপভোগ করলো ক্রিকেটবিশ্ব।
তবে অ্যাশেজ চলাকালীন হোটেলে গিয়ে বিয়ার উপভোগ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অস্ট্রেলীয় ক্রীড়া সাংবাদিক পিটার লালর।
স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরির মতো তিনিও খবরের শিরোনামে এসে গেছেন। মাঠের বাইরের এ খবর নিয়েও মেতেছে ক্রীড়াভক্তরা।
নিউজএইটিন জানিয়েছে, অ্যাশেজ চলাকালীন ম্যানচেস্টারের হোটেল ‘দ্য মালমাইসন’-এ গলা ভেজাতে ঢুকেছিলেন তিনি। হোটেলটি তার বেশ চেনাই। এর আগেও একাধিকবার এসেছেন তিনি। তিনি ছাড়াও অনেক তারকা ফুটবলার, ক্রিকেটাররা দ্য মালমাইসনে এসে এখানে খাবার খেয়ে যান।
তাই সেদিন চোখ বন্ধ করে নিশ্চিন্তে বিয়ারে চুমুক দিয়েছিলেন সাংবাদিক পিটার। এডিনবার্গে তৈরি এক বোতল হালকা মল্ট বিয়ার নিয়েছিলেন পিটার।
বিয়ার শেষ করে বিল মেটানোর জন্য ক্রেডিট কার্ড এগিয়ে দেন পিটার। তার ভাবনায় ছিল মেন্যু অনুযায়ী সেই বিয়ারের দাম ১.৮ ইউরো বা বাংলাদেশি মূদ্রায় ১৭০ টাকার বেশি নয়।
কিন্তু বিল পরিশোধের পর তিনি খেয়াল করেন তার ক্রেডিট কার্ড থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ডলার (৫৫,৩০০ ইউরো)!
শুধু তাই নয় ‘লেনদেন ফি’ বাবদ অতিরিক্ত ২,৫০০ ডলার কেটে নেয়া হয় পিটারের অ্যাকাউন্ট থেকে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা নিজের টুইটার পোস্টে শেয়ার করে পিটার লেখেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে দামি বিয়ার পান করলাম! ম্যানচেস্টারে হোটেল ‘দ্য মালমাইসন’-এ ৯৯,৯৮৩.৬৪ ডালার (বাংলাদেশি মূদ্রায় ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ৮০ টাকা) দাম দিয়ে এক বোতল পান করেছি। বিশ্বাস করুণ আর নাই বা করুন।’
পিটারের এমন টুইটে হইচই পড়ে যায় ম্যানচেস্টারে। অ্যাশেজের মাঠের গল্পকেও কিছু সময়ের জন্য ছাপিয়ে যায় পিটারের বিয়ারের গল্প।
নিউজএইটিন জানিয়েছে, অতিরিক্ত ২,৫০০ ডলার ফেরত দেয়া হয়েছে সাংবাদিক পিটারকে। আর বিয়ারের দাম এতো টাকা ভুলবশত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল ‘দ্য মালমাইসন’ কর্তৃপক্ষ।
পিটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমাও চেয়েছে তারা।
তারা জানিয়েছে, কেন বিয়ারের দাম এতো রাখা হলো তা খতিয়ে দেখবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব সমস্যাটির সমাধান করে বাড়তি নেয়া টাকা পিটারকে ফেরত দেবেন।