ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে

বাংলার মাটি ও মানুষের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নেব না : ব্যারিস্টার নিহাদ কবি

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ হলরুম থেকেই ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে প্রায় সাড়ে চার বছর আগে আমরা আপনাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলাম এবং নির্দ্বিধায় সেই সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। এ ব্যাপারে আমার মনে হয় না একজন ব্যবসায়ীরও এক মুহূর্ত চিন্তা করতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই কনভেনশন সেন্টারের ঠিক বাইরে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে কয়েক দিন আগে মেট্রোরেলে চড়েছিলাম। কম বয়সী মা তার বছরখানেক বয়সী ছেলেকে কোলে নিয়ে মেট্রোরেলে উঠে আনন্দিত বিস্ময়াপ্লুত কণ্ঠে বলছেন, আমার জীবনে আমি প্রথম মেট্রোতে চড়লাম।

আর দেখো আমার বাচ্চার কি ভাগ্য জন্ম থেকেই চড়বে। এই যে আনন্দ, এই যে আমাদের ভবিষ্যৎ- এটা একান্তই আপনার জন্য হয়েছে। আপনার বিচক্ষণ দুঃসাহসী লিডারশিপ পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, আপনার নিরলস কর্মযজ্ঞের কারণে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মেট্রোরেলকে রোজকার বিষয় হিসেবে দেখে বড় হবে। তারা উন্নয়নশীল দেশ স্বল্পোন্নত দেশ না উন্নয়নশীল দেশ পরে উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে বড় হবে। তারা উত্তরোত্তর নিম্ন আয়ের না মধ্যম থেকে উত্তরোত্তর উচ্চতর আয়ের দেশের নাগরিক হিসেবে বড় হবে। আমরা যারা যুদ্ধ-পরবর্তী যুদ্ধের অব্যবহৃত বাংলাদেশের চেহারা দেখেছি আমাদের জন্য এটা কত বড় পাওয়া যে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে চলবে। এটা বলে বোঝানো যায় না। আমাদের ছেলেমেয়েরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি শুরুতেই বললাম, আসলেই এখানে কিন্তু মহিলাদের সংখ্যা কম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দেশের অর্থনীতিতে তারা অবদান রাখছেন না। তারা সারা দেশে গ্রামেগঞ্জে তাদের মেধা এবং পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে সংযুক্ত হচ্ছেন। আপনি তাদের সাহস দিয়েছেন, সহায়তা দিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসা সহজীকরণের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ যদি আরও সম্প্রসারিত করে দেওয়া হয়, তাতে আমাদের ভবিষ্যৎই উজ্জ্বল হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গত নির্বাচনের আগে আমি গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয়েছি। প্রতিটি মহিলার একটাই কথা ছিল- যদি সুযোগ পান আপাকে বলবেন আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন শিক্ষার সুযোগটা পায়। আমরা যে সুযোগটা পাইনি। তিনি যেন সেটা আমাদের বাচ্চাদের দেন এবং সেই যুগোপযোগী শিক্ষার ভিত্তিতেই কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

ব্যারিস্টার নিহাদ কবির আরও বলেন, ব্যবসা সহজীকরণে আপনার দর্শন এবং গতির সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্র যদি তাল মিলিয়ে চলতে পারে, আপনার নির্দেশনা যদি পরিপূর্ণরূপে পালন করতে পারে তাহলে আমরা অনেক দ্রুত অগ্রসর হতে পারব। এফবিসিসিআই সভাপতির উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোয় আমি সম্পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। কিন্তু তার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবার নির্বাচনের সময় এলেই কাদের যেন আনাগোনা শুরু হয়। নাগিনীর বিষাক্ত নিঃশ্বাসের আভাস কানে ভেসে আসে। একটা কথা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমরা বাংলা মায়ের শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলেমেয়ে হতে পারি। কিন্তু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি। বাংলার মাটি, বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে কোনোরকম ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নেব না। আমরা প্রতিরোধ করব। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা সঙ্গে থাকব। পরম করুণাময়ের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য, কর্মময় বর্ণিল জীবন কামনা করছি। ধন্যবাদ জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

বাংলার মাটি ও মানুষের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নেব না : ব্যারিস্টার নিহাদ কবি

আপডেট টাইম : ০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ হলরুম থেকেই ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে প্রায় সাড়ে চার বছর আগে আমরা আপনাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলাম এবং নির্দ্বিধায় সেই সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। এ ব্যাপারে আমার মনে হয় না একজন ব্যবসায়ীরও এক মুহূর্ত চিন্তা করতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই কনভেনশন সেন্টারের ঠিক বাইরে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে কয়েক দিন আগে মেট্রোরেলে চড়েছিলাম। কম বয়সী মা তার বছরখানেক বয়সী ছেলেকে কোলে নিয়ে মেট্রোরেলে উঠে আনন্দিত বিস্ময়াপ্লুত কণ্ঠে বলছেন, আমার জীবনে আমি প্রথম মেট্রোতে চড়লাম।

আর দেখো আমার বাচ্চার কি ভাগ্য জন্ম থেকেই চড়বে। এই যে আনন্দ, এই যে আমাদের ভবিষ্যৎ- এটা একান্তই আপনার জন্য হয়েছে। আপনার বিচক্ষণ দুঃসাহসী লিডারশিপ পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, আপনার নিরলস কর্মযজ্ঞের কারণে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মেট্রোরেলকে রোজকার বিষয় হিসেবে দেখে বড় হবে। তারা উন্নয়নশীল দেশ স্বল্পোন্নত দেশ না উন্নয়নশীল দেশ পরে উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে বড় হবে। তারা উত্তরোত্তর নিম্ন আয়ের না মধ্যম থেকে উত্তরোত্তর উচ্চতর আয়ের দেশের নাগরিক হিসেবে বড় হবে। আমরা যারা যুদ্ধ-পরবর্তী যুদ্ধের অব্যবহৃত বাংলাদেশের চেহারা দেখেছি আমাদের জন্য এটা কত বড় পাওয়া যে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে চলবে। এটা বলে বোঝানো যায় না। আমাদের ছেলেমেয়েরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি শুরুতেই বললাম, আসলেই এখানে কিন্তু মহিলাদের সংখ্যা কম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দেশের অর্থনীতিতে তারা অবদান রাখছেন না। তারা সারা দেশে গ্রামেগঞ্জে তাদের মেধা এবং পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে সংযুক্ত হচ্ছেন। আপনি তাদের সাহস দিয়েছেন, সহায়তা দিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসা সহজীকরণের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ যদি আরও সম্প্রসারিত করে দেওয়া হয়, তাতে আমাদের ভবিষ্যৎই উজ্জ্বল হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গত নির্বাচনের আগে আমি গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয়েছি। প্রতিটি মহিলার একটাই কথা ছিল- যদি সুযোগ পান আপাকে বলবেন আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন শিক্ষার সুযোগটা পায়। আমরা যে সুযোগটা পাইনি। তিনি যেন সেটা আমাদের বাচ্চাদের দেন এবং সেই যুগোপযোগী শিক্ষার ভিত্তিতেই কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

ব্যারিস্টার নিহাদ কবির আরও বলেন, ব্যবসা সহজীকরণে আপনার দর্শন এবং গতির সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্র যদি তাল মিলিয়ে চলতে পারে, আপনার নির্দেশনা যদি পরিপূর্ণরূপে পালন করতে পারে তাহলে আমরা অনেক দ্রুত অগ্রসর হতে পারব। এফবিসিসিআই সভাপতির উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোয় আমি সম্পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। কিন্তু তার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবার নির্বাচনের সময় এলেই কাদের যেন আনাগোনা শুরু হয়। নাগিনীর বিষাক্ত নিঃশ্বাসের আভাস কানে ভেসে আসে। একটা কথা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমরা বাংলা মায়ের শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলেমেয়ে হতে পারি। কিন্তু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি। বাংলার মাটি, বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে কোনোরকম ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নেব না। আমরা প্রতিরোধ করব। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা সঙ্গে থাকব। পরম করুণাময়ের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য, কর্মময় বর্ণিল জীবন কামনা করছি। ধন্যবাদ জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।