ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকের ভয়ংকর দিক তুলে ধরলো ‘দ্য সোশ্যাল ডিলেমা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে এক নতুন বাস্তবতা। গ্রামের চায়ের দোকানে মানুষ তথ্যের জন্য এখন আর পত্রিকার পাতা ঘাঁটাঘাঁটি করে না। সবার হাতেই স্মার্টফোন, আর তাতেই ভয়ংকর ডুব! ফেসবুকের এই ভয়ংকর দিকগুলো নিয়ে ডকুমেন্ট্রি তৈরি করেছে ভিডিও স্ট্রিমিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেটফ্লিক্স।

‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ সিনেমাকে ব্যঙ্গ করতে ডকুমেন্ট্রিটির নাম রাখা হয় ‘দ্য সোশ্যাল ডিলেমা’। এমি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত পরিচালক জেফ ওরোলস্কি এটি পরিচালনা করেন। প্রযুক্তি বিশ্বের অনেক নামি দামি প্রযুক্তিবিদ এতে সাক্ষাৎকার দেন।

তাদের মূল বক্তব্য, ফেসবুক অর্থ আয় করছে মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে। ব্যবহারকারীকে অ্যাপে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাখতে পারলে, অনেক বিজ্ঞাপন দেখানো যায়। আর এই বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রত্যেকের নিউজফিড সাজানো হয় আলাদাভাবে। দু’জন ব্যক্তির মধ্যে খুব মিল থাকলেও তাদের ফেসবুকের নিউজফিড হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ প্রতিটা ব্যবহারকারীর জন্য আলাদা বিজ্ঞাপন, পোস্ট ও নিউজ দিয়ে নিউজফিড সাজায় ফেসবুকের অ্যালগোরিদম।

ফেসবুকের ভয়ংকর দিক তুলে ধরলো 'দ্য সোশ্যাল ডিলেমা'

 

ফেসবুকের কারণে সামাজিক বন্ধনেও এসেছে বিশাল পরিবর্তন, সেসবও তুলে ধরা হয়েছে দ্য সোশ্যাল ডিলেমা’য়। ভুয়া খবরের জন্য তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার জন্যেও দায়ী করা হয়েছে ফেসবুককে।

ডকুমেন্ট্রিটিতে ফেসবুক, গুগল টুইটার ও পিন্টারেস্টের অনেক সাবেক কর্মী জানিয়েছেন, ব্যবহারকারীকে টুল হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারেননি। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন, নিজেদের পরিবারের সদস্যদেরকে ফেসবুক ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো বোঝাতে পারছেন না। এমন কি সব কিছু জেনে নিজেরাও ফেসবুক ব্যবহার না করে থাকতে পারছেন না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেসবুকের ভয়ংকর দিক তুলে ধরলো ‘দ্য সোশ্যাল ডিলেমা

আপডেট টাইম : ০১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে এক নতুন বাস্তবতা। গ্রামের চায়ের দোকানে মানুষ তথ্যের জন্য এখন আর পত্রিকার পাতা ঘাঁটাঘাঁটি করে না। সবার হাতেই স্মার্টফোন, আর তাতেই ভয়ংকর ডুব! ফেসবুকের এই ভয়ংকর দিকগুলো নিয়ে ডকুমেন্ট্রি তৈরি করেছে ভিডিও স্ট্রিমিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেটফ্লিক্স।

‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ সিনেমাকে ব্যঙ্গ করতে ডকুমেন্ট্রিটির নাম রাখা হয় ‘দ্য সোশ্যাল ডিলেমা’। এমি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত পরিচালক জেফ ওরোলস্কি এটি পরিচালনা করেন। প্রযুক্তি বিশ্বের অনেক নামি দামি প্রযুক্তিবিদ এতে সাক্ষাৎকার দেন।

তাদের মূল বক্তব্য, ফেসবুক অর্থ আয় করছে মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে। ব্যবহারকারীকে অ্যাপে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাখতে পারলে, অনেক বিজ্ঞাপন দেখানো যায়। আর এই বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রত্যেকের নিউজফিড সাজানো হয় আলাদাভাবে। দু’জন ব্যক্তির মধ্যে খুব মিল থাকলেও তাদের ফেসবুকের নিউজফিড হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ প্রতিটা ব্যবহারকারীর জন্য আলাদা বিজ্ঞাপন, পোস্ট ও নিউজ দিয়ে নিউজফিড সাজায় ফেসবুকের অ্যালগোরিদম।

ফেসবুকের ভয়ংকর দিক তুলে ধরলো 'দ্য সোশ্যাল ডিলেমা'

 

ফেসবুকের কারণে সামাজিক বন্ধনেও এসেছে বিশাল পরিবর্তন, সেসবও তুলে ধরা হয়েছে দ্য সোশ্যাল ডিলেমা’য়। ভুয়া খবরের জন্য তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার জন্যেও দায়ী করা হয়েছে ফেসবুককে।

ডকুমেন্ট্রিটিতে ফেসবুক, গুগল টুইটার ও পিন্টারেস্টের অনেক সাবেক কর্মী জানিয়েছেন, ব্যবহারকারীকে টুল হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারেননি। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন, নিজেদের পরিবারের সদস্যদেরকে ফেসবুক ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো বোঝাতে পারছেন না। এমন কি সব কিছু জেনে নিজেরাও ফেসবুক ব্যবহার না করে থাকতে পারছেন না।