ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ করার পরও চলছে পাবজি-ফ্রি ফায়ার

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না অনলাইন গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ার। ভিপিএন ছাড়াই অনেক জায়গায় খেলা যাচ্ছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই খেলছেন অনেকে।

বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের সিস্টেম থেকে গেম দুটির অ্যাকসেস বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু সম্ভবত ঐ দুটি গেমের লোকাল সার্ভার থাকায় এখনো সেগুলো চালু আছে। এখন কীভাবে গেম দুটি চালু আছে সে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। পাবজি গেম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিল বিটিআরসি - Somoy News

ভিপিএন দিয়ে পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেললে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব জানতে চাইলে ঐ কর্মকর্তা বলেন, দেশে ভিপিএন বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাহলে প্রযুক্তিগতভাবে অন্যরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অন্য কী পদ্ধতিতে গেম দুটিকে চূড়ান্তভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেবারে পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধ সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং। পুরোপুরি গেম দুটি বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা বিটিআরসিরও নেই। গেম দুটির লোকাল সার্ভার থাকতে পারে। যার মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। অনেক জায়গায় ভিপিএন ছাড়াই গেম দুটি খেলা যাচ্ছে। তবে বুধবার গেম বন্ধের খবর পাওয়ার পর কিছু সময় মোবাইলে তারা অ্যাপসে ঢুকতে পারছিলেন না। ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে একটা ভার্সন বন্ধ করা হয়েছে। তারা গ্লোবাল ভার্সনে গেম খেলছেন। এ রকম আরো ছয়টি ভার্সন আছে। সেগুলো তো বন্ধ হয়নি। ইউজাররা সেগুলো খেলবে এখন থেকে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক তানভীর হাসান জোহা জানিয়েছেন, পাবজি-ফ্রি ফায়ার পুরোপুরি বন্ধ করার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জ বিটিআরসি কীভাবে মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার বিষয়। গেম দুটি বাংলাদেশে কীভাবে চালু আছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ভিপিএন দিয়ে পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেলা যায়। অ্যাপগুলোতে বিল্ট ইন ভিপিএনও থাকে। সুতরাং এগুলো বন্ধ করা সহজ নয়।

ভিপিএন চালু করে পাবজি খেললে গেমের সব সুবিধা পাওয়া যায় না বলে জানান একজন। এই প্রক্রিয়ায় গেম খেললে অনেক সময় আইডিও ব্লক হতে পারে।

প্রসঙ্গত, এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৬ আগস্ট ক্ষতিকারক অনলাইন গেমের সব ধরনের লিংক বা ইন্টারনেট গেটওয়ে তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বলেন, আদালতের নির্দেশে এরই মধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে নির্দেশ দেওয়ার পর তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি ক্ষতিকর অনলাইন প্ল্যাটফরম নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বন্ধ করার পরও চলছে পাবজি-ফ্রি ফায়ার

আপডেট টাইম : ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না অনলাইন গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ার। ভিপিএন ছাড়াই অনেক জায়গায় খেলা যাচ্ছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই খেলছেন অনেকে।

বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের সিস্টেম থেকে গেম দুটির অ্যাকসেস বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু সম্ভবত ঐ দুটি গেমের লোকাল সার্ভার থাকায় এখনো সেগুলো চালু আছে। এখন কীভাবে গেম দুটি চালু আছে সে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। পাবজি গেম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিল বিটিআরসি - Somoy News

ভিপিএন দিয়ে পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেললে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব জানতে চাইলে ঐ কর্মকর্তা বলেন, দেশে ভিপিএন বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাহলে প্রযুক্তিগতভাবে অন্যরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অন্য কী পদ্ধতিতে গেম দুটিকে চূড়ান্তভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেবারে পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধ সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং। পুরোপুরি গেম দুটি বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা বিটিআরসিরও নেই। গেম দুটির লোকাল সার্ভার থাকতে পারে। যার মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। অনেক জায়গায় ভিপিএন ছাড়াই গেম দুটি খেলা যাচ্ছে। তবে বুধবার গেম বন্ধের খবর পাওয়ার পর কিছু সময় মোবাইলে তারা অ্যাপসে ঢুকতে পারছিলেন না। ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে একটা ভার্সন বন্ধ করা হয়েছে। তারা গ্লোবাল ভার্সনে গেম খেলছেন। এ রকম আরো ছয়টি ভার্সন আছে। সেগুলো তো বন্ধ হয়নি। ইউজাররা সেগুলো খেলবে এখন থেকে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক তানভীর হাসান জোহা জানিয়েছেন, পাবজি-ফ্রি ফায়ার পুরোপুরি বন্ধ করার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জ বিটিআরসি কীভাবে মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার বিষয়। গেম দুটি বাংলাদেশে কীভাবে চালু আছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ভিপিএন দিয়ে পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেলা যায়। অ্যাপগুলোতে বিল্ট ইন ভিপিএনও থাকে। সুতরাং এগুলো বন্ধ করা সহজ নয়।

ভিপিএন চালু করে পাবজি খেললে গেমের সব সুবিধা পাওয়া যায় না বলে জানান একজন। এই প্রক্রিয়ায় গেম খেললে অনেক সময় আইডিও ব্লক হতে পারে।

প্রসঙ্গত, এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৬ আগস্ট ক্ষতিকারক অনলাইন গেমের সব ধরনের লিংক বা ইন্টারনেট গেটওয়ে তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বলেন, আদালতের নির্দেশে এরই মধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে নির্দেশ দেওয়ার পর তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি ক্ষতিকর অনলাইন প্ল্যাটফরম নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে।