ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রিত্ব হারানোর সুবিধা হলো, তদবির থেকে বেঁচে গেলাম: মোস্তাফা জব্বার

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থ মেয়াদে মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন মন্ত্রীরা। নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রেট কোটায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মোস্তাফা জব্বারের

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমি তো আবেদন কিংবা তদবির করে মন্ত্রী হইনি। আমি নির্বাচিত ছিলাম না, ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডেকে নিয়ে টেকনোক্রেট কোটায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এরপর তার নেতৃত্বে একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একই মন্ত্রণালয়ে পুনরায় মন্ত্রী বানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। তিনি আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়াশোনা করি, তখন তিনি আমার ক্লাসমেট ছিলেন। পরবর্তীতে আমি আমার ইন্ডাস্ট্রি থেকে ভূমিকা পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী হয়তো চিন্তা করলেন যে, এই লোকটাকে আমি টেকনোক্রেট মন্ত্রী করে দেখি কি করতে পারে। এরপর তিনি আমাকে মন্ত্রী করলেন। এবার হয়তো তিনি চিন্তা করেছেন আর দরকার নেই, তিনি তাই করেছেন। এটা তো তার বিষয়, আমার কিছু না। আমি মন্ত্রী অবস্থায় তার দেওয়া দায়িত্ব সাধ্য অনুযায়ী পালন করার চেষ্টা করেছি।

মন্ত্রী থেকে বাদ পড়ার কোনো সুবিধা দেখেন কী না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটা উপকার হয়েছে আমার-চাকরী, প্রমোশন, বদলি এসবের যন্ত্রণায় আমার যে সময় টুকু নষ্ট হয়েছে কিংবা এ নিয়ে যে টেনশনে থাকতাম তা থেকে মুক্তি পেয়েছি।

অবসর জীবনে কী করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি মূলত কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রির লোক।  আমি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছি। যেখানে আমি ৪ বার সভাপতি ছিলাম। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস ) এর সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। আমি আবার আমার পুরোনো জায়গায় ফিরে যাব। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হয়তোবা আমি এসব জায়গায় নেতৃত্ব দেইনি, কিন্ত সবসময় যোগাযোগ রাখতাম। আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষ আমাকে সবসময় জব্বার ভাই বলেই ডাকতো। সুতরাং আমার জায়গা ছোট নয়, এখনি অবসরের সুযোগ নেই। আমি কাজ করে যেতে চাই।

বিজয় বাংলা সফটওয়্যার এর নতুন ভার্সন নিয়ে কাজ করছেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, গত এক থেকে দেড় মাস ধরে আমি বিজয় বাংলা সফটওয়্যার এর নতুন ভার্সন নিয়ে কাজ করছি। গত ৬ বছর মন্ত্রীসভায় থাকতে গিয়ে সময় পাই নাই, তাই অনেক কাজ করা হয়ে উঠে নাই। নতুন ভার্সন নিয়ে আসতে পারলে, বাংলা আধুনিক কিংবা প্রাচীন এমন কোনো বর্ণ থাকবে না, যেটা বিজয় সফটওয়্যার দিয়ে লেখা যাবে না। এটা আমার একটা বড় স্বপ্ন পূরণ। এতদিন আমরা কেবল প্রচলিত বাংলা অক্ষর লিখতে পারতাম। কিন্তু অন্তত আরও ৩টা ভাষা বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে। আসামি, মণিপুরীরা বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মন্ত্রিত্ব হারানোর সুবিধা হলো, তদবির থেকে বেঁচে গেলাম: মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম : ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থ মেয়াদে মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন মন্ত্রীরা। নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রেট কোটায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মোস্তাফা জব্বারের

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমি তো আবেদন কিংবা তদবির করে মন্ত্রী হইনি। আমি নির্বাচিত ছিলাম না, ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডেকে নিয়ে টেকনোক্রেট কোটায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এরপর তার নেতৃত্বে একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একই মন্ত্রণালয়ে পুনরায় মন্ত্রী বানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। তিনি আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়াশোনা করি, তখন তিনি আমার ক্লাসমেট ছিলেন। পরবর্তীতে আমি আমার ইন্ডাস্ট্রি থেকে ভূমিকা পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী হয়তো চিন্তা করলেন যে, এই লোকটাকে আমি টেকনোক্রেট মন্ত্রী করে দেখি কি করতে পারে। এরপর তিনি আমাকে মন্ত্রী করলেন। এবার হয়তো তিনি চিন্তা করেছেন আর দরকার নেই, তিনি তাই করেছেন। এটা তো তার বিষয়, আমার কিছু না। আমি মন্ত্রী অবস্থায় তার দেওয়া দায়িত্ব সাধ্য অনুযায়ী পালন করার চেষ্টা করেছি।

মন্ত্রী থেকে বাদ পড়ার কোনো সুবিধা দেখেন কী না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটা উপকার হয়েছে আমার-চাকরী, প্রমোশন, বদলি এসবের যন্ত্রণায় আমার যে সময় টুকু নষ্ট হয়েছে কিংবা এ নিয়ে যে টেনশনে থাকতাম তা থেকে মুক্তি পেয়েছি।

অবসর জীবনে কী করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি মূলত কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রির লোক।  আমি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছি। যেখানে আমি ৪ বার সভাপতি ছিলাম। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস ) এর সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। আমি আবার আমার পুরোনো জায়গায় ফিরে যাব। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হয়তোবা আমি এসব জায়গায় নেতৃত্ব দেইনি, কিন্ত সবসময় যোগাযোগ রাখতাম। আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষ আমাকে সবসময় জব্বার ভাই বলেই ডাকতো। সুতরাং আমার জায়গা ছোট নয়, এখনি অবসরের সুযোগ নেই। আমি কাজ করে যেতে চাই।

বিজয় বাংলা সফটওয়্যার এর নতুন ভার্সন নিয়ে কাজ করছেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, গত এক থেকে দেড় মাস ধরে আমি বিজয় বাংলা সফটওয়্যার এর নতুন ভার্সন নিয়ে কাজ করছি। গত ৬ বছর মন্ত্রীসভায় থাকতে গিয়ে সময় পাই নাই, তাই অনেক কাজ করা হয়ে উঠে নাই। নতুন ভার্সন নিয়ে আসতে পারলে, বাংলা আধুনিক কিংবা প্রাচীন এমন কোনো বর্ণ থাকবে না, যেটা বিজয় সফটওয়্যার দিয়ে লেখা যাবে না। এটা আমার একটা বড় স্বপ্ন পূরণ। এতদিন আমরা কেবল প্রচলিত বাংলা অক্ষর লিখতে পারতাম। কিন্তু অন্তত আরও ৩টা ভাষা বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে। আসামি, মণিপুরীরা বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে।