ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অল্প টাকায় স্মার্টফোনের স্বপ্ন পূরণ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণের বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। মুহূর্তেই খবর পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। প্রযুক্তির এ যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে মোবাইল ফোন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ ও উন্নত করতে নামি-দামি মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত নিয়ে আসছে নতুন নতুন ফিচারের মোবাইল ফোন। স্বল্প আয়ের থেকে নিয়ে মধ্যবিত্ত প্রায় সব শ্রেণির পরিবারের লোকেরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।

এসব নামি মোবাইল ফোন চালানোর স্বপ্ন সবাই দেখে। কিন্তু যাদের পর্যাপ্ত টাকা নেই, তারা হয়ত সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। তবে এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা সাধ্যের মধ্যেই মানি-দামি ব্র্যান্ডের সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহত) মোবাইল ফোন সেট কিনে আশা পূরণ করছেন। আবার অনেকে নিজের মোবাইল ফোন সেটের সঙ্গে আরো কিছু টাকা দিয়ে বদলে নিচ্ছেন এসব স্মার্টফোন।

রাজধানীর উত্তরা, গুলশানে এক্সচেঞ্জ হাব কয়েকটি আউটলেটের মাধ্যমে সেকেন্ড হ্যান্ডের ভালো মোবাইল ফোনসেটগুলো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অলনাইল শপেও নামি-দামি ব্যান্ডের মোবাইল ফোন রয়েছে।

এক্সচেঞ্জ হাবের উত্তরা আউটলেটের ম্যানেজার তামিম নতুন সময়কে বলেন, প্রায় ছোট-বড় এক হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান এ সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেট নিয়ে কাজ করছে। ক্রেতাদের সাড়াও ভালো।

সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেটে। অনলাইন বিপণন মাধ্যম বিক্রয় ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সব ধরনের অনলাইন বিজ্ঞাপনের ৭০ শতাংশ হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেটের। সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেট বিক্রির প্রধান শহর হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী।

অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার বিপত্তি কম নয়। মোবাইল কিনতে গিয়ে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। অনেকে আবার পড়ছেন পুলিশি ঝামেলায়।

সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন ক্রেতার এক নিকটাত্মীয় নীল মামুন জানান, ‘আমার পরিচিত এক ব্যক্তি আজিমপুর থাকেন। তিনি একটি সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন কিনবেন। এজন্য তিনি বিক্রয় ডটকমের সাইটে খুঁজলেন। বেশ কিছুদিন খোঁজার পর তিনি তার মনের মতো সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলটি কিনলেন।

এবার ঘটনার গভীরে যাওয়া যাক। যেই মোবাইলটি তিনি কিনেছেন সেটি ছিনতাই করা। সেটটি ছিনতাই করা হয়েছে একজন টেলিভিশন সাংবাদিকের কাছ থেকে। ছিনতাই করা মোবাইলটির বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বিক্রয় ডটকমে। কিনেই পড়েন বিপত্তিতে। ডিবি পুলিশের কাছে তার মোবাইলে IMEI (International Mobile Equipment Identity) নম্বর দেন এবং তারা মোবাইল ক্রেতাকে ধরেন। এ ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে।’

সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেট কেনার বিষয়ে যাত্রাবাড়ী স্বর্ণালী টেলিকমের সহকারী ম্যানেজার শহিদ নতুন সময়কে বলেন, সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল যতদূর সম্ভব আমাদের না কেনাই উচিত। তারপরেও যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তা পরিচিত কারোর থেকে কেনা যেতে পারে।

তিনি জানান, সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, একা একা কখনও  সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কিনতে না যাওয়া। যার থেকে মোবাইলটি কিনবেন তার এক কপি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিজের কাছে সংরক্ষণ রাখুন।

শহিদ আরো জানান, বিক্রেতার কাছ থেকে মোবাইলের ক্রয় রশিদ নিয়ে নিশ্চিত হোন যে বিক্রেতা ভুয়া নয়। সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলটি ভালো আছে কিনা বা ব্যবহার উপযোগী কিনা তা আগেই যাচাই-বাছাই করে নিন। অনেক সময়ই এ মোবাইলগুলো ত্রুটিপূর্ণ থাকে যা মোবাইল বিক্রেতা লুকানোর চেষ্টা করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

অল্প টাকায় স্মার্টফোনের স্বপ্ন পূরণ

আপডেট টাইম : ১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণের বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। মুহূর্তেই খবর পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। প্রযুক্তির এ যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে মোবাইল ফোন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ ও উন্নত করতে নামি-দামি মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত নিয়ে আসছে নতুন নতুন ফিচারের মোবাইল ফোন। স্বল্প আয়ের থেকে নিয়ে মধ্যবিত্ত প্রায় সব শ্রেণির পরিবারের লোকেরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।

এসব নামি মোবাইল ফোন চালানোর স্বপ্ন সবাই দেখে। কিন্তু যাদের পর্যাপ্ত টাকা নেই, তারা হয়ত সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। তবে এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা সাধ্যের মধ্যেই মানি-দামি ব্র্যান্ডের সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহত) মোবাইল ফোন সেট কিনে আশা পূরণ করছেন। আবার অনেকে নিজের মোবাইল ফোন সেটের সঙ্গে আরো কিছু টাকা দিয়ে বদলে নিচ্ছেন এসব স্মার্টফোন।

রাজধানীর উত্তরা, গুলশানে এক্সচেঞ্জ হাব কয়েকটি আউটলেটের মাধ্যমে সেকেন্ড হ্যান্ডের ভালো মোবাইল ফোনসেটগুলো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অলনাইল শপেও নামি-দামি ব্যান্ডের মোবাইল ফোন রয়েছে।

এক্সচেঞ্জ হাবের উত্তরা আউটলেটের ম্যানেজার তামিম নতুন সময়কে বলেন, প্রায় ছোট-বড় এক হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান এ সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেট নিয়ে কাজ করছে। ক্রেতাদের সাড়াও ভালো।

সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেটে। অনলাইন বিপণন মাধ্যম বিক্রয় ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সব ধরনের অনলাইন বিজ্ঞাপনের ৭০ শতাংশ হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেটের। সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেট বিক্রির প্রধান শহর হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী।

অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার বিপত্তি কম নয়। মোবাইল কিনতে গিয়ে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। অনেকে আবার পড়ছেন পুলিশি ঝামেলায়।

সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন ক্রেতার এক নিকটাত্মীয় নীল মামুন জানান, ‘আমার পরিচিত এক ব্যক্তি আজিমপুর থাকেন। তিনি একটি সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন কিনবেন। এজন্য তিনি বিক্রয় ডটকমের সাইটে খুঁজলেন। বেশ কিছুদিন খোঁজার পর তিনি তার মনের মতো সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলটি কিনলেন।

এবার ঘটনার গভীরে যাওয়া যাক। যেই মোবাইলটি তিনি কিনেছেন সেটি ছিনতাই করা। সেটটি ছিনতাই করা হয়েছে একজন টেলিভিশন সাংবাদিকের কাছ থেকে। ছিনতাই করা মোবাইলটির বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বিক্রয় ডটকমে। কিনেই পড়েন বিপত্তিতে। ডিবি পুলিশের কাছে তার মোবাইলে IMEI (International Mobile Equipment Identity) নম্বর দেন এবং তারা মোবাইল ক্রেতাকে ধরেন। এ ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে।’

সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন সেট কেনার বিষয়ে যাত্রাবাড়ী স্বর্ণালী টেলিকমের সহকারী ম্যানেজার শহিদ নতুন সময়কে বলেন, সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল যতদূর সম্ভব আমাদের না কেনাই উচিত। তারপরেও যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তা পরিচিত কারোর থেকে কেনা যেতে পারে।

তিনি জানান, সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, একা একা কখনও  সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কিনতে না যাওয়া। যার থেকে মোবাইলটি কিনবেন তার এক কপি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিজের কাছে সংরক্ষণ রাখুন।

শহিদ আরো জানান, বিক্রেতার কাছ থেকে মোবাইলের ক্রয় রশিদ নিয়ে নিশ্চিত হোন যে বিক্রেতা ভুয়া নয়। সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলটি ভালো আছে কিনা বা ব্যবহার উপযোগী কিনা তা আগেই যাচাই-বাছাই করে নিন। অনেক সময়ই এ মোবাইলগুলো ত্রুটিপূর্ণ থাকে যা মোবাইল বিক্রেতা লুকানোর চেষ্টা করেন।