ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয়

বাঙালী কন্ঠঃ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন ফিলিপাইনের বাংসামারুর ইন্টেরিয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অ্যাটর্নি নাগিব সিনারিমবো। তিনি বলেছেন, কয়েক বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমাদের মন্ত্রিপরিষদে আমি সবসময় বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি। কারণ, তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের এমন উত্থান সত্যিই অনুকরণীয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সমন্বয়করণ ও ডিজাইন ল্যাবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অন্ষ্ঠুানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি ফিলিপাইনের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ টিটন মিত্রা। অন্ষ্ঠুানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সব নাগরিকসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছি। তারুণ্যের শক্তি বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম এজেন্ডা। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সব খেলাকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা ও তদানুসারে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সদা সচেতন। এ ডিজাইন ল্যাবে ডিজাইনকৃত প্ল্যাটফর্মের আওতায় মোট ২২টি সেবাকে বিশ্লেষণপূর্বক ৭টি সিস্টেম ডিজাইন করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে রূপ নেবে।
মন্ত্রী পরে ফিলিপাইনের বাংসামারুর ইন্টেরিয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাটর্নি নাগিব সিনারিমবোকে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করেন। এর মাধ্যমে দুই দেশই নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে, একসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি আরও বাড়িয়ে তুলতে কাজ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবে সাতটি গ্রুপের পর্যালোচনায় একটি ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের বিষয় উঠে এসেছে।
যার মধ্যে যুবকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান সিস্টেম, খেলাধুলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্পোর্টস ও যুব ক্লাব ম্যানেজমেন্ট, স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট ও ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উল্লেখযোগ্য।
ডিজিটাল সার্ভিস রোডম্যাপ ২০২১ কর্মশালায় শনাক্তকৃত সিস্টেমগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এটুআইর ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্সেলেরেটর টিমের সহযোগিতায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ আয়োজন করেছে।
এ ল্যাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক সব গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান পদ্ধতি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সেবা প্রদানের ধাপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সেবা প্রাপ্তির সময় ও খরচ এবং সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছে। সেবাপ্রাপ্তিতে নাগরিকদের সময়, অর্থ ও যাতায়াত হ্রাসের লক্ষ্যে সেবা প্রদান পদ্ধতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেবাগুলোকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিজাইন ল্যাব কর্মশালায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ২৪ জন কর্মকর্তা, ৭ জন সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সার্ভিস এনালিস্ট, ৮ জন এটুআইর কর্মকর্তা এবং ১৪ জন সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এটুআইর চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট (ই-গভর্ন্যান্স) ফরহাদ জাহিদ শেখ ল্যাবে ডিজাইনকৃত ও পরিকল্পনাকৃত ডিজিটাল সার্ভিসগুলো সমন্বয় করে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত এ সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ড. আবদুল মান্নান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি ফিলিপিন, বাংসামারু, ফিলিপাইনের ইন্টেরিয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয়

আপডেট টাইম : ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠঃ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন ফিলিপাইনের বাংসামারুর ইন্টেরিয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অ্যাটর্নি নাগিব সিনারিমবো। তিনি বলেছেন, কয়েক বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমাদের মন্ত্রিপরিষদে আমি সবসময় বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি। কারণ, তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের এমন উত্থান সত্যিই অনুকরণীয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সমন্বয়করণ ও ডিজাইন ল্যাবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অন্ষ্ঠুানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি ফিলিপাইনের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ টিটন মিত্রা। অন্ষ্ঠুানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সব নাগরিকসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছি। তারুণ্যের শক্তি বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম এজেন্ডা। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সব খেলাকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা ও তদানুসারে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সদা সচেতন। এ ডিজাইন ল্যাবে ডিজাইনকৃত প্ল্যাটফর্মের আওতায় মোট ২২টি সেবাকে বিশ্লেষণপূর্বক ৭টি সিস্টেম ডিজাইন করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে রূপ নেবে।
মন্ত্রী পরে ফিলিপাইনের বাংসামারুর ইন্টেরিয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাটর্নি নাগিব সিনারিমবোকে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করেন। এর মাধ্যমে দুই দেশই নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে, একসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি আরও বাড়িয়ে তুলতে কাজ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবে সাতটি গ্রুপের পর্যালোচনায় একটি ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের বিষয় উঠে এসেছে।
যার মধ্যে যুবকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান সিস্টেম, খেলাধুলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্পোর্টস ও যুব ক্লাব ম্যানেজমেন্ট, স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট ও ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উল্লেখযোগ্য।
ডিজিটাল সার্ভিস রোডম্যাপ ২০২১ কর্মশালায় শনাক্তকৃত সিস্টেমগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এটুআইর ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্সেলেরেটর টিমের সহযোগিতায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ আয়োজন করেছে।
এ ল্যাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক সব গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান পদ্ধতি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সেবা প্রদানের ধাপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সেবা প্রাপ্তির সময় ও খরচ এবং সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছে। সেবাপ্রাপ্তিতে নাগরিকদের সময়, অর্থ ও যাতায়াত হ্রাসের লক্ষ্যে সেবা প্রদান পদ্ধতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেবাগুলোকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিজাইন ল্যাব কর্মশালায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ২৪ জন কর্মকর্তা, ৭ জন সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সার্ভিস এনালিস্ট, ৮ জন এটুআইর কর্মকর্তা এবং ১৪ জন সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এটুআইর চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট (ই-গভর্ন্যান্স) ফরহাদ জাহিদ শেখ ল্যাবে ডিজাইনকৃত ও পরিকল্পনাকৃত ডিজিটাল সার্ভিসগুলো সমন্বয় করে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত এ সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ড. আবদুল মান্নান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি ফিলিপিন, বাংসামারু, ফিলিপাইনের ইন্টেরিয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।