নাগরিক জীবনে আধুনিকতা আর টেকস্যাভির দৌরাত্ম্যে কুসংস্কার বাঙালি জীবনে শীতকালের মতোই ফিকে হয়ে গেছে। বরং এখন কালো বিড়াল, পেঁচার মতো সাহেবি সংস্কারগুলো নিয়ে বাঙালিদের মাথাব্যথা। সকাল সকাল এক শালিক দেখলে সারাদিন কতটা খারাপ যেতে পারে তা আজকালকার ক্লাস থ্রি’র বাচ্চারাও জানে। কুসংস্কার নিয়ে বাঙালির ছ্যুৎমার্গ আর কি তেমন রয়েছে! আসলে গত তিন দশকে বাঙালির দৈনন্দিন জীবন থেকে কুসংস্কার ব্যাপারটাই কেমন হাওয়া হয়ে গিয়েছে। আজকাল কতজনই বা খবর রাখেন দাঁড়কাক ডাকলে কী বলতে হয়?
না, এই প্রতিবেদন কোনো কুসংস্কার বাঁচাও কমিটির প্রস্তাবনা নয় বরং এই লেখায় সন্ধান করা যাক এই টেকনো সভ্যতা, নেট-অ্যাডিক্ট সময়েও টিকে থাকা বাঙালিদের কুসংস্কারকে। যেমন:
১. হাঁচি দিলে যাত্রায় বাধা আসে। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্র বলছে হাঁচি নাকি দীর্ঘ আয়ুর ইন্ডিকেটার।
২. কোথাও যাওয়ার পূর্বে টিকটিকির ডাক নাকি অযাত্রা। আবার কথার মাঝে তিনবার টিকটিকির ডাক সেই কথার সত্যতা প্রমাণ করে।
৩. ছেলেদের ডান হাত চুলকালে নাকি অর্থযোগ হয়। আবার বাম হাত চুলকালে অর্থনাশের সম্ভাবনা থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঠিক এর উল্টোটা হয়। কিন্তু মজার বিষয়, দু’হাত একসঙ্গে চুলকালে কী হবে তা বাঙালিদের অজানা।
৪. চোখ নাচলে কোনো অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। কিন্তু সেই অমঙ্গলের ব্যাপ্তি কতটা তা কেউ জানে না।
৫. যাত্রার পূর্বে পিছু ডাক মানুষের অমঙ্গল করে। কিন্তু সেই পিছু ডাক যদি মায়ের হয় তাতে সন্তানের মঙ্গল হয়। আবার মায়ের বদলে বউ পিছু ডাকলে সেই ব্যক্তির পদোন্নতি অসম্ভব।