বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এমু জাতীয় বিশাল আকারের পোষা পাখির আক্রমণে নিহত হয়েছেন পাখিটির মালিক ৭৫ বছর বয়স্ক মারভিন হাজোস। উত্তর ফ্লোরিডার আলাচুয়া শহরের দক্ষিণ অঞ্চলে গানেসভিলের বাড়িতে পাখির হাতে মারা যান এর মালিক। এ জাতীয় পাখিরা উড়তে পারে না।
গত শুক্রবার পাখিটিকে খাবার দিতে যখন যান মারভিন হাজোস, তখন তিনি হযত পড়ে যান, এরপরই তাকে আক্রমণ করে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পাখিটি। মারভিন হাজোসের বান্ধবী ৯১১ নম্বরে ফোন করে সকাল ১০টার দিকে পুলিশে খবর দেয়ার পর ক্ষতবিক্ষত হাজোসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এলাচুয়া কান্ট্রি ডেপুটি ফায়ার চিফ জেফ টেইলর শনিবার বলেন, আমার মনে হয় ওই ভদ্রলোক পাখিটির আশপাশে ছিলেন। এক সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সুযোগে পাখিটি তাকে আক্রমণ করে।
বিরাট চেহারার এই পাখিটি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পাখি বলে মনে করেন পক্ষীবিশারদরা। মূলত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ গিনিতে পাওয়া যায় এ জাতের পাখি। এটি অস্ট্রিচ উটপাখি প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এই পাখির সারা গা কালো পালকে ঢাকা, লম্বা পা এবং ধারালো চক্ষু রয়েছে। চেহারার তুলনায় ডানা ছোট হওয়ায় এই পাখি উড়তে পারে না। ওজন প্রায় ৬০ কেজি। বাঘ এবং সিংহের পর এটিকেও ভয়ঙ্কর বন্যপ্রাণী হিসেবে মনে করা হয়। ঘণ্টায় ৩১ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে। চিড়িয়াখানার অভিজ্ঞ কর্মীরাও এই পাখির সামনে যেতে ভয় পায়।
ফ্লোরিডার বাসিন্দা মারভিন হাজোস কয়েক দশক ধরে অদ্ভুত জীবজন্তু ও পাখি নিজের বাড়িতে রেখে পালন করতেন। হাজোসের সংগ্রহে আরো বেশ কয়েকটি বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। নিজের ফার্ম হাউজে শখ করে এনে রেখেছিলেন একটি এমু। তবে বিপজ্জনক এই পাখি রাখার অনুমতি তার ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেরিফ কার্যালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট ব্রেট রোডেনাইজার এক ইমেলে বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে কিন্তু প্রাথমিক তথ্য বলেছে এটি একটি দুঃখজনক দুর্ঘটনা