ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ লাখ টাকা কেজি মূল্যের জাফরান চাষের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সম্প্রতি বাংলাদেশে মূল্যবান মসলা জাফরান উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক। গবেষকদলের প্রধান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন জানান, তাঁরাই দেশের মাটিতে প্রথম সফলভাবে জাফরান উৎপাদন করেছেন।

সম্প্রতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, বহুকাল ধরে নানা মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়ানো ও মূল্যবান প্রসাধনীতে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

এটি ইংরেজিতে স্যাফ্রন নামে পরিচিত যার বৈজ্ঞানিক নাম Crocus sativas। ছয় থেকে আট ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের প্রতিটি জাফরানগাছে এক থেকে দুটি গাড় বেগুনি রঙের ফুল হয়। জাফরানের কন্দ লাগানোর তিন মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে।

একটা কন্দ কয়েকবার ব্যবহার করা যায় বলে জানান তিনি। অধ্যাপক জামাল বলেন, বাংলাদেশ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় জাফরান চাষ করা যায়। তবে স্বল্প আলোতে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জাফরান ভালো জন্মায়।

বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তিনি জানান, প্রতিবছর ৩৬ থেকে ৪০ কেজি জাফরান আমদানি করা হয়। যার প্রতি কেজির মূল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।

দেশে এটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা সম্ভব হলে আমাদের আর আমদানিনির্ভর হয়ে থাকতে হবে না। মসলা উৎপাদনে দেশে যুগান্তকারী সাফল্য আনা যাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

৩ লাখ টাকা কেজি মূল্যের জাফরান চাষের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সম্প্রতি বাংলাদেশে মূল্যবান মসলা জাফরান উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক। গবেষকদলের প্রধান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন জানান, তাঁরাই দেশের মাটিতে প্রথম সফলভাবে জাফরান উৎপাদন করেছেন।

সম্প্রতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, বহুকাল ধরে নানা মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়ানো ও মূল্যবান প্রসাধনীতে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

এটি ইংরেজিতে স্যাফ্রন নামে পরিচিত যার বৈজ্ঞানিক নাম Crocus sativas। ছয় থেকে আট ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের প্রতিটি জাফরানগাছে এক থেকে দুটি গাড় বেগুনি রঙের ফুল হয়। জাফরানের কন্দ লাগানোর তিন মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে।

একটা কন্দ কয়েকবার ব্যবহার করা যায় বলে জানান তিনি। অধ্যাপক জামাল বলেন, বাংলাদেশ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় জাফরান চাষ করা যায়। তবে স্বল্প আলোতে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জাফরান ভালো জন্মায়।

বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তিনি জানান, প্রতিবছর ৩৬ থেকে ৪০ কেজি জাফরান আমদানি করা হয়। যার প্রতি কেজির মূল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।

দেশে এটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা সম্ভব হলে আমাদের আর আমদানিনির্ভর হয়ে থাকতে হবে না। মসলা উৎপাদনে দেশে যুগান্তকারী সাফল্য আনা যাবে।