বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গ্রীষ্মের দাবদাহ মুছে প্রকৃতিতে আজ শীতলতার বার্তা নিয়ে আসছে আষাঢ়। বর্ষার আগমনে পত্র-পল্লবে আসে সতেজতা। নদী ধারণ করে যুবতী কিশোরীর রূপ। প্রকৃতি সাজে কদম ফুলে। ঝুম বৃষ্টিতে কদমের দোলা আর মিষ্টি গন্ধ মনকে দেয় স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। বর্ষায় সবুজের সমারোহ জীব বৈচিত্র্যে আনে প্রাণের সঞ্চার।
বর্ষার সতেজ বাতাসে জুঁই, কামিনি, বেলি, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা আরো কতো ফুলের সুবাস। লেবু পাতার বনেও যেন অন্য আয়োজন। উপচে পড়া পদ্মপুকুর রঙিন হয়ে ফোটে বর্ষাকে পাওয়ার জন্য। কেয়ার বনেও কেতকীর মাতামাতি। রবী ঠাকুরের ভাষায়, “আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে” শহুরে জীবনে কিছুটা গ্রামীণ ছোঁয়া পেতে বর্ষার জুড়ি নেই। গ্রীষ্মের তাপদাহে স্বস্তির আশ্বাস দেয় এই ঋতু। তবে কখনও কখনও বদলে যায় দৃশ্য। রাস্তা-ঘাটে, অলি-গলিতে জমে পানি। জন জীবনে নামে ভোগান্তি।
বর্ষার তাণ্ডব নৃত্যে নদী তীরবর্তী এলাকাতে বিরাজ করে আতঙ্ক।
তবুও বর্ষা বাঙালী জীবনে নতুনের আবাহন। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলীর আস্তরণে আনে জীবনেরই বারতা। সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা বাঙলা মায়ের নবজন্ম এই বর্ষাতেই। সারা বছরের খাদ্য-শস্য-বীজের উন্মেষতো ঘটবে বর্ষার ফেলে যাওয়া অফুরন্ত সম্ভাবনার পলিমাটি থেকে।