ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের বার্তা নিয়ে হাজির ভোরের শিশির

বাঙালী কন্ঠঃ ভোরের শিশির মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে আসছে শীত। শিশিরমাখা আশ্বিনের একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে প্রকৃতি এখন মানুষকে কাছে টানছে। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা। উৎসব আর আনন্দের মাঝে নিমগ্ন খেটে খাওয়া মানুষ। এমন সময় প্রকৃতি দূর করে দেয় শত কষ্টের গস্নানি। প্রকৃতির অপরূপ ছবিতে সাজানো মাকরশার জালে আটকা পড়েছে সাহিত্যপ্রেমিরা। ভোরবেলা মাঠে-ময়দানে ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য। হালকা লালচে রংয়ে দিচ্ছে ঝিলিক। সূর্যের কিরণে মুক্তামালা চোখে পড়ে। কুয়াশার প্রতিটি কণা মুক্তার মতো জ্বলছে। গ্রীষ্ম আর শীতের মধ্যে হেমন্ত যেন অপরূপ এক সেতুবন্ধন। ভাদ্রের মাঝামাঝি সন্ধ্যে থেকে ভোর পর্যন্ত শীতল হাওয়া আর বিকেলে ঝরতে থাকা ধূসর কুয়াশা জানাচ্ছে দুয়ারে শীত কড়া নাড়ছে। মাঠে প্রান্তরে ভোরবেলা শিশিরমাখা ধানের ডলা জানান দিচ্ছে সম্ভাবনার বার্তা। প্রবীণ নাট্যকার ও সাংবাদিক গোপাল মহন্ত জানান, গাইবান্ধাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে ভাদ্রের মাঝামাঝিতে ভোরবেলা দূর্বা ঘাসে শিশির দেখা যায়। কয়েক দিন থেকে ভোরে ফ্যানের প্রয়োজন হচ্ছে না তাই শীত শির শির করে দরজায় করা নাড়ছে। লেখক ও সাংবাদিক গোবিন্দ লাল দাস জানান, প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনীবার্তা। শীত মানেই উৎসব। যেন পিঠা আর জামাই মেলা নিয়ে আসে শীতকাল। আবহাওয়া আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এখন শীত ভাদ্রের মাঝেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে। ভোর রাতে কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হয়। তাই বোঝা যায় শীত বেশি দূরে নেই। বগুড়া আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসাইনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুয়াশা পরিমাপক যন্ত্র গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট স্থানে বসানো ও চালু করা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে ভোরবেলা হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আশ্বিন মাসের দিন যত যাচ্ছে শীতের আগমনী উপলব্ধি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা কম বা বেশি হওয়ার বিষয়টি আরও মাসখানেক পরে নির্ণয় করা যাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীতের বার্তা নিয়ে হাজির ভোরের শিশির

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠঃ ভোরের শিশির মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে আসছে শীত। শিশিরমাখা আশ্বিনের একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে প্রকৃতি এখন মানুষকে কাছে টানছে। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা। উৎসব আর আনন্দের মাঝে নিমগ্ন খেটে খাওয়া মানুষ। এমন সময় প্রকৃতি দূর করে দেয় শত কষ্টের গস্নানি। প্রকৃতির অপরূপ ছবিতে সাজানো মাকরশার জালে আটকা পড়েছে সাহিত্যপ্রেমিরা। ভোরবেলা মাঠে-ময়দানে ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য। হালকা লালচে রংয়ে দিচ্ছে ঝিলিক। সূর্যের কিরণে মুক্তামালা চোখে পড়ে। কুয়াশার প্রতিটি কণা মুক্তার মতো জ্বলছে। গ্রীষ্ম আর শীতের মধ্যে হেমন্ত যেন অপরূপ এক সেতুবন্ধন। ভাদ্রের মাঝামাঝি সন্ধ্যে থেকে ভোর পর্যন্ত শীতল হাওয়া আর বিকেলে ঝরতে থাকা ধূসর কুয়াশা জানাচ্ছে দুয়ারে শীত কড়া নাড়ছে। মাঠে প্রান্তরে ভোরবেলা শিশিরমাখা ধানের ডলা জানান দিচ্ছে সম্ভাবনার বার্তা। প্রবীণ নাট্যকার ও সাংবাদিক গোপাল মহন্ত জানান, গাইবান্ধাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে ভাদ্রের মাঝামাঝিতে ভোরবেলা দূর্বা ঘাসে শিশির দেখা যায়। কয়েক দিন থেকে ভোরে ফ্যানের প্রয়োজন হচ্ছে না তাই শীত শির শির করে দরজায় করা নাড়ছে। লেখক ও সাংবাদিক গোবিন্দ লাল দাস জানান, প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনীবার্তা। শীত মানেই উৎসব। যেন পিঠা আর জামাই মেলা নিয়ে আসে শীতকাল। আবহাওয়া আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এখন শীত ভাদ্রের মাঝেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে। ভোর রাতে কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হয়। তাই বোঝা যায় শীত বেশি দূরে নেই। বগুড়া আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসাইনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুয়াশা পরিমাপক যন্ত্র গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট স্থানে বসানো ও চালু করা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে ভোরবেলা হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আশ্বিন মাসের দিন যত যাচ্ছে শীতের আগমনী উপলব্ধি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা কম বা বেশি হওয়ার বিষয়টি আরও মাসখানেক পরে নির্ণয় করা যাবে।