দূরে কোথাও যাচ্ছেন, সামনেই পড়ল বড়সড় কোনো সেতু। এ অবস্থায় বেশিরভাগ সময়ই আমরা গাড়ি নিয়ে ভোঁ করে সেতুটি পার হয়ে যাই। কারণ সেখানে বিরতি দেয়ার অবকাশ নেই। কিন্তু ভাবুন তো, সে সেতুটি যদি একই সঙ্গে হয় একটি তথ্যভাণ্ডার, একটি জাদুঘর! তবে কেমন হয়।
ঠিক এমন ধারণা নিয়েই নরওয়েতে বানানো হয়েছে একটি সেতু। এটি একই সঙ্গে সেতু ও জাদুঘর। শুধু তাই নয়, একে দেয়া হয়েছে শৈল্পিক আকৃতি। এখানে আপনি অবকাশ কাটানোর সুযোগ পাবেন। দেখতে পাবেন সমসাময়িক নানা শিল্পকর্ম।
ইঙ্গেলস গ্রুপ (বিগ) নামে নরওয়ের একটি স্থাপত্য সংস্থার প্রকৌশলীরা এ সেতুটির নকশা করেছেন। র্যান্ডসেলভা নদীর ওপর সেতুটি পাকানো বা মোচড়ানো ভঙ্গিতে নির্মাণ করা হয়েছে। চিত্তাকর্ষক নির্মাণটি একই সঙ্গে একটি সেতু, একটি জাদুঘর ও এক টুকরো শিল্পকর্ম।
অত্যাধুনিক এ সেতুতে দর্শকদের জন্য একটি বৃত্তাকার লুপ তৈরি করা হয়েছে এবং এখানে স্থান পেয়েছে সমসাময়িক বিভিন্ন শিল্পকর্ম। নদীর দুই তীরকে সংযুক্ত করা এক হাজার বর্গফুটের এ সেতুতে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুটি নিচের দিক থেকে ওপরের দিকে মোচড়ানো।
এটিকে বলা হচ্ছে, ১৯৯৬ সালে স্থাপিত নরওয়ের কিসটেফোস জাদুঘর ও ভাস্কর্য পার্কের এক টুকরো আধুনিক কর্ম। কিসটেফোস জাদুঘরটি ক্রিস্টেন ভিয়াস নামে এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সেতুটির নির্মাতারা বলছেন, এখানে ক্রমেই জনসাধারণের আনাগোনা বাড়ছে এবং এ জাদুঘরের ভেতর বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনেরও অনুমোদন দেবেন তারা।
সেতুটিতে রয়েছে প্যানারোমিক রুমে লম্বভাবে তৈরি করা গ্যালারি, যেটা ক্রমেই বাইরের দিকে চলে গেছে। এখানে দাঁড়ালে আপনি নদীর অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পাবেন। আলো-আঁধারের খেলা দেখতে পাবেন। নির্মাতারা বলছেন, এখানে শিল্প ও প্রকৃতির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।