ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাদশা শেরশাহর শাসনামলে গ্র্যান্ডটাংক বটগাছ

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ এ বটগাছকে ঘিরে নানা রহস্যে ঘেরা গল্প-কাহিনী আর কল্পগাথা। জানা গেছে, বাদশা শেরশাহর শাসনামলে গ্র্যান্ডটাংক রোড নির্মাণকালে আত্রাইয়ের শাহাগোলার আদর্শগ্রামের কাছে এ বটগাছটি রোপণ করা হয়েছিল। সে সময় এ এলাকায় বিল ছিল। রোদ বৃষ্টির মাঝে কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল ফলাতো। রাখালেরা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য গবাদিপশুকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত শরীরে শীতল ছায়ার প্রতিক্ষায় থাকতো। আর সে কারণেই নাকি এ বটগাছ রোপণ করা হয়েছিলো। তাই   গ্রীষ্মের দাবদাহে কৃষক যখন অতিষ্ট ঠিক তখনই একটু শীতল ছায়ার আশায় এ বট বৃক্ষের নীচে জমা হতো।

এ বটবৃক্ষ সম্পর্কে আলাপচারিতায় ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, আমার জন্মের পর থেকেই এ বটগাছটি দেখে আসছি। এই বটগাছের কত বয়স হবে তা আমরা সঠিকভাবে বলতে পারবো না। এখন বটগাছের নিচে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সমাগম ঘটে। এ বটগাছটি যেন সেই আদিম সনাতন সভ্যতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যর সারকথা আজো সবার সামনে তুলে ধরে আছে।

তিনি আরো জানান, অযত্ন-অবহেলা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও নানামুখী অত্যাচারের কারণে এই ঐতিহ্যবাহী বটগাছের অস্তিত্ব নষ্ট হতে চলেছে। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বটগাছটি লোকজন বছরের প্রায় প্রতিদিনই দেখতে আসে। তাদের জন্য বিশ্রাম বা বসার জায়গাটুকু ও এখানে নেই।

এলাকার সচেতনমহল মনে করেন এই বটগাছটি সংরক্ষণ এবং এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা নিলে এখানে আরো লোকের সমাগম ঘটবে এবং ভবিষ্যতে বর্ষীয়ান এ বটগাছের জন্যই এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। এলাকাবাসীর দাবী এই ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি রক্ষায় যেন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি পড়ে এবং তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাদশা শেরশাহর শাসনামলে গ্র্যান্ডটাংক বটগাছ

আপডেট টাইম : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ এ বটগাছকে ঘিরে নানা রহস্যে ঘেরা গল্প-কাহিনী আর কল্পগাথা। জানা গেছে, বাদশা শেরশাহর শাসনামলে গ্র্যান্ডটাংক রোড নির্মাণকালে আত্রাইয়ের শাহাগোলার আদর্শগ্রামের কাছে এ বটগাছটি রোপণ করা হয়েছিল। সে সময় এ এলাকায় বিল ছিল। রোদ বৃষ্টির মাঝে কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল ফলাতো। রাখালেরা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য গবাদিপশুকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত শরীরে শীতল ছায়ার প্রতিক্ষায় থাকতো। আর সে কারণেই নাকি এ বটগাছ রোপণ করা হয়েছিলো। তাই   গ্রীষ্মের দাবদাহে কৃষক যখন অতিষ্ট ঠিক তখনই একটু শীতল ছায়ার আশায় এ বট বৃক্ষের নীচে জমা হতো।

এ বটবৃক্ষ সম্পর্কে আলাপচারিতায় ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, আমার জন্মের পর থেকেই এ বটগাছটি দেখে আসছি। এই বটগাছের কত বয়স হবে তা আমরা সঠিকভাবে বলতে পারবো না। এখন বটগাছের নিচে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সমাগম ঘটে। এ বটগাছটি যেন সেই আদিম সনাতন সভ্যতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যর সারকথা আজো সবার সামনে তুলে ধরে আছে।

তিনি আরো জানান, অযত্ন-অবহেলা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও নানামুখী অত্যাচারের কারণে এই ঐতিহ্যবাহী বটগাছের অস্তিত্ব নষ্ট হতে চলেছে। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বটগাছটি লোকজন বছরের প্রায় প্রতিদিনই দেখতে আসে। তাদের জন্য বিশ্রাম বা বসার জায়গাটুকু ও এখানে নেই।

এলাকার সচেতনমহল মনে করেন এই বটগাছটি সংরক্ষণ এবং এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা নিলে এখানে আরো লোকের সমাগম ঘটবে এবং ভবিষ্যতে বর্ষীয়ান এ বটগাছের জন্যই এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। এলাকাবাসীর দাবী এই ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি রক্ষায় যেন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি পড়ে এবং তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।