ঢাকা , সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ঢাকায় প্রতি ১১ জনের একজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাম্প্রতিক একটি জরিপে জানা গেছে, ঢাকার প্রায় প্রতি ১১জনের একজন চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রায় একদশক ধরে বাংলাদেশে রোগটি দেখা দিলেও এবারের মতো প্রকোপ আগে দেখা যায়নি। এই রোগে প্রচণ্ড জ্বর থেকে ওঠার পরেও শরীরে ব্যথা থেকে যায় দীর্ঘদিন। সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটা ভোগান্তির কারণ হয়েছে চিকুনগুনিয়া? চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন, বিশেষ করে যাদের প্রতিদিনকার আয়ের উপর নির্ভন করতে হয়। আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী  সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে এই রোগটি বাংলাদেশে সনাক্ত হলেও, এবছরই সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, মোবাইল নাম্বারের ভিত্তিতে র‌্যানডমলি আমরা ৪ হাজার মানুষের মধ্যে একটি জরিপ করেছি। এখনো সেই জরিপের ফলাফল চূড়ান্ত হয়নি, পর্যালোচনা চলছে, তবে একটি ধারণা দিতে পারি। এই চার হাজার লোকের মধ্যে ৩৫৭জন চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এথেকে হয়তো ধারণা করতে পারেন যে, কত শতাংশ মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এই জরিপটি তারা ঈদের আগেই করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে এটি বিস্তারিত আকারে জানানো হবে। তাদের ধারণা, বৃষ্টি যতদিন থাকবে, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ থাকতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, ততদিন মশা থেকে সতর্কতাই, যেমন মশারি বা ওষুধ ব্যবহার করাই হবে এ থেকে রক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায়। বৃষ্টির পর যাতে পানি জমে থাকতে না পারে, যেখানে মশা ডিম পাড়তে পারে, সেদিকেও নজর দিতে তারা পরামর্শ দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিএনপির সঙ্গে সরকার-ছাত্রদের দূরত্ব যেসব ইস্যুতে

ঢাকায় প্রতি ১১ জনের একজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত

আপডেট টাইম : ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাম্প্রতিক একটি জরিপে জানা গেছে, ঢাকার প্রায় প্রতি ১১জনের একজন চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রায় একদশক ধরে বাংলাদেশে রোগটি দেখা দিলেও এবারের মতো প্রকোপ আগে দেখা যায়নি। এই রোগে প্রচণ্ড জ্বর থেকে ওঠার পরেও শরীরে ব্যথা থেকে যায় দীর্ঘদিন। সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটা ভোগান্তির কারণ হয়েছে চিকুনগুনিয়া? চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন, বিশেষ করে যাদের প্রতিদিনকার আয়ের উপর নির্ভন করতে হয়। আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী  সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে এই রোগটি বাংলাদেশে সনাক্ত হলেও, এবছরই সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, মোবাইল নাম্বারের ভিত্তিতে র‌্যানডমলি আমরা ৪ হাজার মানুষের মধ্যে একটি জরিপ করেছি। এখনো সেই জরিপের ফলাফল চূড়ান্ত হয়নি, পর্যালোচনা চলছে, তবে একটি ধারণা দিতে পারি। এই চার হাজার লোকের মধ্যে ৩৫৭জন চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এথেকে হয়তো ধারণা করতে পারেন যে, কত শতাংশ মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এই জরিপটি তারা ঈদের আগেই করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে এটি বিস্তারিত আকারে জানানো হবে। তাদের ধারণা, বৃষ্টি যতদিন থাকবে, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ থাকতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, ততদিন মশা থেকে সতর্কতাই, যেমন মশারি বা ওষুধ ব্যবহার করাই হবে এ থেকে রক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায়। বৃষ্টির পর যাতে পানি জমে থাকতে না পারে, যেখানে মশা ডিম পাড়তে পারে, সেদিকেও নজর দিতে তারা পরামর্শ দিয়েছেন।