ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার

ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে আসাম পর্যন্ত নদীপথে বিলাসবহুল প্রমোদতরী চালানো শুরু করতে যাচ্ছে ভারত সরকার। এটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল নদী ভ্রমণ। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চালু হতে চলেছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’। আগামী ১৩ জানুয়ারি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ ভ্রমণপথের উদ্বোধন করবেন। গত সোমবার (২ জানুয়ারি) উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের অন্যতম প্রাচীন শহর বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত চলবে এ নৌবিহার। পুরো সফরে সময় লাগবে অন্তত ৫০ দিন, এর মধ্যে বাংলাদেশে কাটবে ১৫ দিন।

‘গঙ্গা বিলাস’র যাত্রাপথে পড়বে ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদনদী। ভারত থেকে যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘতম জলপথে সুন্দরবন কিংবা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের মতো দর্শনীয় স্থান ছুঁয়ে যাবে এই তরী।

বাংলাদেশ-ভারতের মাঝে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহারবাংলাদেশ-ভারতের মাঝে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার

সফরকারীরা শুধু নৌযানেই থাকবেন তা কিন্তু নয়। সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁ, ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কসহ ৫০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখারও সুযোগ পাবেন তারা।

বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে একবারে ৮০ জন যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রমোদতরীতে আলাদা স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রমোদতরীর ভেতরে থাকবে মোট ১৮টি কেবিন। এতে এলইডি টিভি থেকে শুরু করে সাজানো শৌচাগার, বারান্দাসহ থাকছে আরও অনেক কিছু।

বাংলাদেশ-ভারতের মাঝে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার

সরকারি উদ্যোগে হলেও এই প্রমোদতরী পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যে পুরো ভারতে এমন অনেক জলপথে পরিবহন ব্যবস্থা চালুর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

গঙ্গা বিলাসে ভ্রমণের জন্য কত টাকা খরচ হবে, মাথাপিছু টিকিটের দাম কত, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পরিবহন এই জলযাত্রার মূল উদ্দেশ্য নয়। ‘গঙ্গা বিলাস’র উদ্দেশ্য ভ্রমণ। তাই পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য সব রকম ব্যবস্থা এই প্রমোদতরীতে রাখা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে আসাম পর্যন্ত নদীপথে বিলাসবহুল প্রমোদতরী চালানো শুরু করতে যাচ্ছে ভারত সরকার। এটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল নদী ভ্রমণ। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চালু হতে চলেছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’। আগামী ১৩ জানুয়ারি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ ভ্রমণপথের উদ্বোধন করবেন। গত সোমবার (২ জানুয়ারি) উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের অন্যতম প্রাচীন শহর বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত চলবে এ নৌবিহার। পুরো সফরে সময় লাগবে অন্তত ৫০ দিন, এর মধ্যে বাংলাদেশে কাটবে ১৫ দিন।

‘গঙ্গা বিলাস’র যাত্রাপথে পড়বে ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদনদী। ভারত থেকে যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘতম জলপথে সুন্দরবন কিংবা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের মতো দর্শনীয় স্থান ছুঁয়ে যাবে এই তরী।

বাংলাদেশ-ভারতের মাঝে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহারবাংলাদেশ-ভারতের মাঝে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার

সফরকারীরা শুধু নৌযানেই থাকবেন তা কিন্তু নয়। সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁ, ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কসহ ৫০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখারও সুযোগ পাবেন তারা।

বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে একবারে ৮০ জন যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রমোদতরীতে আলাদা স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রমোদতরীর ভেতরে থাকবে মোট ১৮টি কেবিন। এতে এলইডি টিভি থেকে শুরু করে সাজানো শৌচাগার, বারান্দাসহ থাকছে আরও অনেক কিছু।

বাংলাদেশ-ভারতের মাঝে চালু হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার

সরকারি উদ্যোগে হলেও এই প্রমোদতরী পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যে পুরো ভারতে এমন অনেক জলপথে পরিবহন ব্যবস্থা চালুর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

গঙ্গা বিলাসে ভ্রমণের জন্য কত টাকা খরচ হবে, মাথাপিছু টিকিটের দাম কত, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পরিবহন এই জলযাত্রার মূল উদ্দেশ্য নয়। ‘গঙ্গা বিলাস’র উদ্দেশ্য ভ্রমণ। তাই পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য সব রকম ব্যবস্থা এই প্রমোদতরীতে রাখা হয়েছে।