ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

প্লাস্টিকের ট্রেতে ধানের চারা রোপণ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বৃহত্তর যশোরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছেন কৃষক। তারা প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ থেকে উৎপাদিত চারা আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করছেন। এর মাধ্যমে কৃষকের শ্রম ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তেমনি সনাতন পদ্ধতির তুলনায় কৃষক বিঘাপ্রতি ফলনও পাবেন বেশি। আর কৃষকের মাঝে এ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে প্রাথমিক পর্যায়ে ধানবীজ ফ্রি সরবরাহ করছে মাজান্ড কনসোর্টিয়াম ও ইরি বাংলাদেশ।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) কনসালটেন্ট লতিফুল বারী জানান, কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী মাজান্ড কনসোর্টিয়াম ও ইরি বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইরি-২৮, ইরি-৫৭, ইরি-৬২, ইরি-৭০, ইরি-৭২ এর বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ থেকে উৎপাদিত চারা আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করাও হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী এ যন্ত্রে ধান চাষ করলে কৃৃষক সনাতন পদ্ধতির তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ ফলন বেশি পাবেন। সময় বাঁচবে, কমবে উৎপাদন খরচও। তাছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে সারা দিনে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক প্রয়োজন হতো। যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র দুইজন শ্রমিক সেই পরিমাণ চারা ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই রোপণ করতে পারবেন। আর খরচও বাঁচবে হাজার টাকার বেশি।

সূত্র মতে, যশোর জেলায় লেবুতলা, বাঘারপাড়ার হালিয়াসহ সাতটি প্রজেক্ট এবং মাগুরা ও ঝিনাইদহতে আরও তিনটি প্রজেক্টে কাজ চলছে। প্রতি প্রজেক্টে ১০০ বিঘা করে প্রায় হাজার বিঘার মতো এ পদ্ধতিতে ধান চাষ হচ্ছে। ৩৫ জন লোকাল সাপোর্ট প্রভাইডারকে (এলএসপি) প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের এ চাষ পদ্ধতির জন্য উপযোগী করা হয়েছে। কৃষক জানান, কোনো বীজতলা ছাড়াই বিশেষ ব্যবস্থায় প্লাাস্টিকের ট্রেতে চারা তৈরি করা হয়। সেই চারা কৃষক অতি সহজেই আধুনিক রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করতে পারেন। দুর্যোগ মুহূর্তেও বিশেষ ব্যবস্থায় ধানের চারা তৈরি করা যাবে। কৃষক চাইলে শুধু চারা উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

বাঘারপাড়ার হালিয়ার কৃষক আনছার আলী জানালেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষ করছেন। ওই এলাকার কৃষক ইকরামুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা জানান, এ চাষ পদ্ধতিতে আগাছা দমনও সহজ। যন্ত্রের মাধ্যমে একই সারিতে একই দূরত্বে ধান জন্মায়। ফলে শুধু আগাছা দমনই নয়, ধানের রোগবালাইও কম হবে। বাঘারপাড়া কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ফরিদ বলেন, পদ্ধতি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে বীজ রোপণের ক্ষেত্রে কৃষকের সময় বাঁচবে। মাত্র ১২ থেকে ১৮ দিনের ধানের চারা এ যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা যায়, যা হাতে রোপণের জন্য চারার বয়সের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ফলে ধান চাষ অগ্রসর হবে বলে মনে করা যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে এখনও চাষের ক্ষেত্রে সেচ মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

প্লাস্টিকের ট্রেতে ধানের চারা রোপণ

আপডেট টাইম : ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বৃহত্তর যশোরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছেন কৃষক। তারা প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ থেকে উৎপাদিত চারা আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করছেন। এর মাধ্যমে কৃষকের শ্রম ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তেমনি সনাতন পদ্ধতির তুলনায় কৃষক বিঘাপ্রতি ফলনও পাবেন বেশি। আর কৃষকের মাঝে এ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে প্রাথমিক পর্যায়ে ধানবীজ ফ্রি সরবরাহ করছে মাজান্ড কনসোর্টিয়াম ও ইরি বাংলাদেশ।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) কনসালটেন্ট লতিফুল বারী জানান, কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী মাজান্ড কনসোর্টিয়াম ও ইরি বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইরি-২৮, ইরি-৫৭, ইরি-৬২, ইরি-৭০, ইরি-৭২ এর বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ থেকে উৎপাদিত চারা আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করাও হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী এ যন্ত্রে ধান চাষ করলে কৃৃষক সনাতন পদ্ধতির তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ ফলন বেশি পাবেন। সময় বাঁচবে, কমবে উৎপাদন খরচও। তাছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে সারা দিনে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক প্রয়োজন হতো। যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র দুইজন শ্রমিক সেই পরিমাণ চারা ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই রোপণ করতে পারবেন। আর খরচও বাঁচবে হাজার টাকার বেশি।

সূত্র মতে, যশোর জেলায় লেবুতলা, বাঘারপাড়ার হালিয়াসহ সাতটি প্রজেক্ট এবং মাগুরা ও ঝিনাইদহতে আরও তিনটি প্রজেক্টে কাজ চলছে। প্রতি প্রজেক্টে ১০০ বিঘা করে প্রায় হাজার বিঘার মতো এ পদ্ধতিতে ধান চাষ হচ্ছে। ৩৫ জন লোকাল সাপোর্ট প্রভাইডারকে (এলএসপি) প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের এ চাষ পদ্ধতির জন্য উপযোগী করা হয়েছে। কৃষক জানান, কোনো বীজতলা ছাড়াই বিশেষ ব্যবস্থায় প্লাাস্টিকের ট্রেতে চারা তৈরি করা হয়। সেই চারা কৃষক অতি সহজেই আধুনিক রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করতে পারেন। দুর্যোগ মুহূর্তেও বিশেষ ব্যবস্থায় ধানের চারা তৈরি করা যাবে। কৃষক চাইলে শুধু চারা উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

বাঘারপাড়ার হালিয়ার কৃষক আনছার আলী জানালেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষ করছেন। ওই এলাকার কৃষক ইকরামুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা জানান, এ চাষ পদ্ধতিতে আগাছা দমনও সহজ। যন্ত্রের মাধ্যমে একই সারিতে একই দূরত্বে ধান জন্মায়। ফলে শুধু আগাছা দমনই নয়, ধানের রোগবালাইও কম হবে। বাঘারপাড়া কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ফরিদ বলেন, পদ্ধতি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে বীজ রোপণের ক্ষেত্রে কৃষকের সময় বাঁচবে। মাত্র ১২ থেকে ১৮ দিনের ধানের চারা এ যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা যায়, যা হাতে রোপণের জন্য চারার বয়সের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ফলে ধান চাষ অগ্রসর হবে বলে মনে করা যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে এখনও চাষের ক্ষেত্রে সেচ মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।