ঢাকা , বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ শ্লোগান শরীরে ধারণ করে অন্যায়, অবিচার আর অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহিদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করি।

সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে শহিদ নূর হোসেনসহ আরও অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তিকামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

আপডেট টাইম : ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ শ্লোগান শরীরে ধারণ করে অন্যায়, অবিচার আর অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহিদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করি।

সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে শহিদ নূর হোসেনসহ আরও অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তিকামনা করেন রাষ্ট্রপতি।