ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৩ সদস্যের সংস্কার কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে সাইন্সল্যাবের আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন তারা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সাইন্সল্যাব এলাকা।

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ না নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা এই কমিশন প্রত্যাখ্যান করেছি। রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা চাই দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন তারা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।

এরপর গত মাঙ্গলবার সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।

২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবে।

৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে, ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

আপডেট টাইম : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৩ সদস্যের সংস্কার কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে সাইন্সল্যাবের আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন তারা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সাইন্সল্যাব এলাকা।

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ না নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা এই কমিশন প্রত্যাখ্যান করেছি। রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা চাই দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন তারা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।

এরপর গত মাঙ্গলবার সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।

২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবে।

৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে, ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।