ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে যা বলল ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

শনিবার (২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। বিষয়টি দুই পক্ষের চুক্তির শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং এ বিষয়ে জানানোর জন্য এখন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্যে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড বাংলাদেশে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে।

জানা গেছে, সময় মতো বকেয়া বিল না পেয়ে আদানি লিমিটেড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ‘পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩১ তারিখের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সে বিষয়ে আগাম সতর্ক করেছিলেন আদানি।

সতর্কতা হিসেবে ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু সময়ের মধ্যে বিল না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩১ তারিখ থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। হিসাব বলছে, এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আদানি গোষ্ঠীর তরফে এও বলা হয়েছে, বকেয়া না মেটালে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সময় কমছে ২ ঘণ্টা

আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে যা বলল ভারত

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

শনিবার (২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। বিষয়টি দুই পক্ষের চুক্তির শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং এ বিষয়ে জানানোর জন্য এখন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্যে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড বাংলাদেশে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে।

জানা গেছে, সময় মতো বকেয়া বিল না পেয়ে আদানি লিমিটেড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ‘পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩১ তারিখের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সে বিষয়ে আগাম সতর্ক করেছিলেন আদানি।

সতর্কতা হিসেবে ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু সময়ের মধ্যে বিল না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩১ তারিখ থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। হিসাব বলছে, এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আদানি গোষ্ঠীর তরফে এও বলা হয়েছে, বকেয়া না মেটালে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।