যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আবু হেনা বলেন,‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নও দরকার। বর্তমান সিস্টেম পরিবর্তন না করেও কার্যকর নির্বাচন করা সম্ভব।’
কী মতামত দিয়েছেন– এমন প্রশ্নে সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছি। আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমি ১৯৯২ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এই সুযোগে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা আহত, নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার কিছু সুপারিশ আছে। আমি তাদের বলেছি, আশা করি তারা বিবেচনা করবেন। আমার সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি চাই দেশে আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেগুলো সাধারণ বা অন্য নির্বাচন যাই হোক, সেগুলো যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং দেশের কল্যাণ যেন হয়।’
আবু হেনা বলেন, ‘আইন যত ভালোই হোক না কেন, প্রয়োগ না হলে সুফল আসে না। যত রিফর্ম করেন না কেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য মানুষ দরকার, যোগ্য কমিশন দরকার। যোগ্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আর আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন দরকার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দরকার। ওপর থেকে আরোপ করা নয়। নিচে থেকে উঠে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। এটা যদি সবগুলো দল বাস্তবায়ন করে তবে দেশের জন্য কল্যাণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। এই সিস্টেমই কার্যকর হতে পারে। নতুন কোনো সিস্টেম দরকার আছে বলে মনে করি না। যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিক সিস্টেম আছে, সেই সব দেশে যে এটা ভালোভাবে চলছে, এটা মনে করবেন না। এটা আমি জানি। আমাদের যে সিস্টেম আছে, যেটা মানুষের কাছে পরীক্ষিত, এই সিস্টেমই কার্যকর করে তোলা দরকার। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সংসদ কয় কক্ষের হবে, এটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো।’
সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘আইন খালি সংশোধন করলেই হয় না। আইনের প্রয়োগ দরকার যোগ্য লোককে দিয়ে। কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই, সুনাম আছে এরকম লোক দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিটমেন্ট থাকলে সেটা করা যায়।’