রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি’ আখ্যা দিয়ে অতি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ সময় দলটি ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করার দাবি জানায়।
আজ রবিবার বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির কথা তুলে ধরেন মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
এ সময় তারা ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের’ দাবি জানায়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘২০২২ সালে তৎকালীন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একটি আইন প্রণয়ন করেছিল যা “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন-২০২২” হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী সরকারের ওই আইন তখন বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল।’
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ওই আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি গঠন করে। অথচ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ওই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে সার্বিক প্রস্তাব সরকারের কাছে পেশা করা তাদের কাজ। এর মধ্যে আছে নির্বাচন কি আসনভিত্তিক হবে নাকি আনুপাতিক হবে সেই ব্যাপার; আছে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়নের পদ্ধতি প্রস্তাবসহ অন্যান্য নানা ব্যাপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ওই কমিশন কাজ শুরু করেছে দুই মাসও হয় নাই। তাদের প্রথম কাজই হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পদ্ধতি ঠিক করা। তারা কোনো প্রস্তাব দেয়ার আগেই ইতিমধ্যেই সরকার ইসি গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছে।’