লিভ টু আপিল গ্রহণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগ হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া সাজা ও জরিমানা স্থগিত করেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী সাব্বির চৌধুরী বলেন, ‘এ মামলা করার এখতিয়ার দুদকের নেই। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আইনবহির্ভূতভাবে এই মামলা করেছে।’
এর আগে সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদন্ড ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করে।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী। গিয়াস উদ্দিন মামুনের পক্ষে করা আপিল খারিস করে ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদন্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এদিকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা বহাল রেখে জরিমানা ৪০ কোটি থেকে কমিয়ে ২০ কোটি করে। এটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সাজা।
এরপর ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গিয়াস উদ্দিন কারাগার থেকে বেরিয়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে লিভ টু আপিল গ্রহণ করে বলে জানান আইনজীবী সাব্বির চৌধুরী।