পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রির নিচে। এতে করে দেশের এ উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত জেলায় তৃতীয় ধাপে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। পৌষের চলতি সপ্তাহে এমন তাপমাত্রার রেকর্ডে হাড়কাপানো শীত পোহাচ্ছে এ সীমান্ত জনপদের মানুষ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন রবিবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর সকালেই ঝলমলে রোদ ছড়াচ্ছে সূর্য। উত্তরের হিমবাতাসে কনকনে শীত অনুভব করছে উত্তরের এ জেলার মানুষ। সকালেই কাজে বেড়িয়ে পড়েছেন দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষ।
নিম্ন আয়ের পেশার মানুষগুলো বলছেন, ‘তাপমাত্রা বাড়ে কমে। কিন্তু আমরা এ অঞ্চলে শীত ঠিকই পোহাচ্ছি। কী শৈত্যপ্রবাহ, কী তাপমাত্রা। রাতভর বরফের মতো ঠান্ডা অনুভব করছি। আজকে আবার শীত বেশি মনে হচ্ছে। কিন্তু শীত হলেও ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতেই তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।’
শীতে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজকে ফের তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন রবিবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।’