সিলেটের কমলালেবুর নামডাক সারা পৃথিবীময়। তবে রানি এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য কমলালেবুর দই দিয়ে যে কেক নাদিয়া বানিয়েছেন সেটিতে সিলেটের কমলালেবু ব্যবহৃত হয়েছে কিনা জানা না গেলেও ঠিকই বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব উইনার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়াকে পাশে নিয়েই ৯০তম জন্মদিনের কেক কাটলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ক্যাসেলে নাদিয়ার বানানো কেকের পাশে এসে দাঁড়িয়ে রানি রসিকতা করে নাদিয়াকে জিজ্ঞেস করলেন ‘এটি কি কাটবো?’ নাদিয়ার সহাস্য উত্তর, ‘আমি আশা করছি’।
এরপর নাদিয়াকে পাশে রেখেই তিনস্তরবিশিষ্ট কেকে ছুরি চালালেন রানি। এ সময় উইন্ডসর ক্যাসেলের রাস্তায় দাঁড়ানো হাজারো মানুষের সমাবেশ থেকে রব ওঠে ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু কুইন’।
কেক কাটার আগে রানি অবশ্য কেকের রং, ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথাও বলেন নাদিয়ার সঙ্গে। কেক কাটার পর এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকারে নাদিয়া বলেন, তিনি কখনো ভাবেননি জীবনে এমন সুযোগ আসবে। রানির ৯০তম জন্মদিনের কেক বানানোর ঘটনা অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ক্যাসলে বিভিন্ন দেশের ২৬০ জন বিদেশি কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। আগে থেকে টিকিট সংগ্রহকারী বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ দিনটিতে উইন্ডসর ক্যাসল রাজপ্রাসাদেই অতিথিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করে সারাদিন কাটান রানি। নিজের জন্মদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করতে সন্ধ্যায় এক হাজার আলোক শিখায় আগুন প্রজ্জ্বলন করেন। রাতে বিশেষ ভোজে অংশ নেন আমন্ত্রিত বাছাই করা অতিথিদের সঙ্গে। এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ ঘটা করেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বেকার নাদিয়া হোসেইনের তৈরি রানির জন্মদিনের কেকের প্রশংসা করে। কমলালেবুর দই দিয়ে অরেঞ্জ ড্রিজল কেকটি তৈরি করেন নাদিয়া।