ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখের বেটি দেইখবার আইসবে স্বপ্নেও ভাবি নাই

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বন্যাদুর্গত মানুষের কষ্ট, দুর্দশা কাছ থেকে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথা বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে। করেছেন ত্রাণ বিতরণ। আর প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বানবাসীর মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা কিছুটা হলে অনেক কমে যায়।

বন্ধুবন্ধু-কন্যাকে কাছে পেয়ে এক বৃদ্ধা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নিজের হাত দিয়্যা হামাক ত্রাণ দিবে তাক চিন্তাও করি নাই। প্রধানমন্ত্রী বাঁচি থাকুক, দ্যশের মাইনষের জন্য কাম করুক এটাই হামরা চাই। শেখের বেটি দেইখবার আইসবে স্বপ্নেও ভাবি নাই।”

বন্যার্তদের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীও বলেন, আপনাদের পাশে আছি, পাশে থাকব। সামনের ফসল উঠার আগ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ সহায়তা পাবেন। যাদের ঘর বাড়ি নষ্ট হয়েছে তাদের ঘর করে দেয়া হবে। ভূমিহীনদের স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি করে দেয়া হবে।’

রোববার বিকালে কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গা হাই স্কুল

মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা, আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার সব কিছু করছে। এ সরকার আওয়ামী লীগের সরকার। এ সরকার জনগণের সরকার। এ সরকার আপনাদের সরকার। আমার বাবা দেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসতেন। তাই তিনি দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমিও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ও কল্যাণে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, সবাইকে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে। আগামী মাস থেকে দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ১০টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল তিন মাস দেয়া হবে। দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সেজন্য চাল আমদানির উপর ২৮ভাগ ট্যাক্স কমিয়ে ২ ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ লাখ টন খাদ্য আমদানি করা হয়েছে। কাজেই কোনো সংকট নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৮১ সাল থেকে কুড়িগ্রামের প্রতিটি উপজেলায়, ইউনিয়নে ঘুরে বেড়িয়েছি। মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখেছি। তখন এ অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা লেগে থাকত। সরকারে না থেকেও তখন মানুষের পাশে ছিলাম। লঙ্গরখানা খুলেছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এ জেলার জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়েছি। যাতে করে গ্রামের মানুষটিও ভালো থাকতে পারে।

তিনি বলেন, অল্প সময়ে কুড়িগ্রামকে খাদ্য উদ্বৃত্ত করতে সক্ষম হই। এখন আর মঙ্গা নেই। আমরা মাঝে ক্ষমতায় ছিলাম না। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি আবারও দেশে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটিত। আমাদের চেষ্টায় দেশ আবারও ৩০ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনাদের এতটুকু বলতে পারি যতক্ষণ আমি আছি ততক্ষণ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মরবে না। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে আমার বাবার মতো আমিও জীবন দিয়ে যাবো এটাই আমার প্রতীজ্ঞা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শেখের বেটি দেইখবার আইসবে স্বপ্নেও ভাবি নাই

আপডেট টাইম : ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বন্যাদুর্গত মানুষের কষ্ট, দুর্দশা কাছ থেকে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথা বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে। করেছেন ত্রাণ বিতরণ। আর প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বানবাসীর মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা কিছুটা হলে অনেক কমে যায়।

বন্ধুবন্ধু-কন্যাকে কাছে পেয়ে এক বৃদ্ধা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নিজের হাত দিয়্যা হামাক ত্রাণ দিবে তাক চিন্তাও করি নাই। প্রধানমন্ত্রী বাঁচি থাকুক, দ্যশের মাইনষের জন্য কাম করুক এটাই হামরা চাই। শেখের বেটি দেইখবার আইসবে স্বপ্নেও ভাবি নাই।”

বন্যার্তদের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীও বলেন, আপনাদের পাশে আছি, পাশে থাকব। সামনের ফসল উঠার আগ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ সহায়তা পাবেন। যাদের ঘর বাড়ি নষ্ট হয়েছে তাদের ঘর করে দেয়া হবে। ভূমিহীনদের স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি করে দেয়া হবে।’

রোববার বিকালে কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গা হাই স্কুল

মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা, আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার সব কিছু করছে। এ সরকার আওয়ামী লীগের সরকার। এ সরকার জনগণের সরকার। এ সরকার আপনাদের সরকার। আমার বাবা দেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসতেন। তাই তিনি দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমিও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ও কল্যাণে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, সবাইকে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে। আগামী মাস থেকে দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ১০টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল তিন মাস দেয়া হবে। দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সেজন্য চাল আমদানির উপর ২৮ভাগ ট্যাক্স কমিয়ে ২ ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ লাখ টন খাদ্য আমদানি করা হয়েছে। কাজেই কোনো সংকট নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৮১ সাল থেকে কুড়িগ্রামের প্রতিটি উপজেলায়, ইউনিয়নে ঘুরে বেড়িয়েছি। মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখেছি। তখন এ অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা লেগে থাকত। সরকারে না থেকেও তখন মানুষের পাশে ছিলাম। লঙ্গরখানা খুলেছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এ জেলার জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়েছি। যাতে করে গ্রামের মানুষটিও ভালো থাকতে পারে।

তিনি বলেন, অল্প সময়ে কুড়িগ্রামকে খাদ্য উদ্বৃত্ত করতে সক্ষম হই। এখন আর মঙ্গা নেই। আমরা মাঝে ক্ষমতায় ছিলাম না। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি আবারও দেশে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটিত। আমাদের চেষ্টায় দেশ আবারও ৩০ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনাদের এতটুকু বলতে পারি যতক্ষণ আমি আছি ততক্ষণ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মরবে না। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে আমার বাবার মতো আমিও জীবন দিয়ে যাবো এটাই আমার প্রতীজ্ঞা।