আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জাসদের অবস্থান নিয়ে দেয়া বক্তব্যে অন্ধকারে আওয়ামী লীগের নেতারা। জাসদ নিয়ে হঠাৎ দলের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের পেছনে কোনো কারণ রয়েছে তা খুঁজছেন দলটির নেতারা। এ নিয়ে দেশবাসীর মনেও অজানা প্রশ্ন।
তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য না আসা পর্যন্ত জাসদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান ধোঁয়াশাই থাকবে বলে ধারণা রাজনৈাতক বোদ্ধাদের।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ কয়েক নেতা বলেন, ‘ফাও’ কথার লোক নন সৈয়দ আশরাফ। আগ বাড়িয়ে তিনি কিছু বলেন না। হঠাৎ মুখ ফসকে একটা কথা বলে ফেলার মানুষও নন সৈয়দ আশরাফ।
তবে তাদের ধারণা, তার এ ধরনের বক্তব্য কোনো না কোনো ইঙ্গিত বহন
করে। হয়তো তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন চোখে না পড়লেও জাসদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অন্য কিছু ভাবছে। সেজন্য আপাতত প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বলেন, জাসদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারক ও বাহকের শতভাগ ভণ্ড। সরকারে জাসদের একজনকে মন্ত্রী করার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। জাসদই বঙ্গবন্ধুর হত্যাক্ষেত্র তৈরি করেছিল বলেও অভিযোগ করেন সৈয়দ আশরাফ।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিআরটিএ-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, জাসদ নিয়ে তার দল বা সরকারের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের সাধারণ সম্পাদকের এটি ব্যক্তিগত মতামত। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
ইনুর যুদ্ধ স্তব্ধ করা যাবে না : শিরিন আক্তার
এদিকে জাসদ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য শরিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি
শিরিন আক্তার বলেন, হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু সৈয়দ আশরাফের এমন বক্তব্য ঐক্য বিনষ্টের ইঙ্গিত নয় কি?