ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মিয়ানমারের সঙ্গে সুসস্পর্ক বজায় রেখেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিয়ানমার বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধের উস্কানি দিলেও আমরা তাতে পড়িনি। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে গোটা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক সিনিয়র মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদানকালে মিয়ানমারের প্রতিনিধি রোহিঙ্গা ইস্যুতে নানাভাবে উস্কানি দিয়েছে। তিনি বলেন, বাড়াবাড়ি বা ঝগড়াঝাটি করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মিয়ানমার একটি খারাপ ও বর্বর জাতি। ওদের কাছ থেকে চাল আনার দরকার নেই। তাদের সঙ্গে ব্যবসা করব না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বজায় রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই আলোচনার এ সমস্যার সমাধান করা হবে। ওরা (মিয়ানমার) বর্বর জাতি আপনি ঠিকই বলেছেন। তার পরেও আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রাখতে হবে।

ভারত-পাকিস্তানের উদারহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে চরম বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই বলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কসহ সব বজায় রয়েছে। আমাদেরও মিয়ানমারের সঙ্গে সব যোগাযোগ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সেসব দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার পাঠিয়েছি। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ৯২ সালের একটি চুক্তি ছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সেই আলোকে একটি এমওইউ স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এটি স্বাক্ষরিত হলে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে। ওয়ার্ল্ড সাপোর্ট আরো পাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ঠ্যাঙ্গার চরে রাখা হবে। তাদেরকে সেখানে পাঠানো প্রোসেস করছি। এক্ষত্রে বিভিন্ন দেশে ও সংস্থার সহায়তা নিচ্ছি। সহায়তা যারাই দিক সরকারের মাধ্যমে আসতে হবে। কারণ পুরো বিষয়টিতে সরকারের সমম্বয় থাকতে হবে।

চালের মজুদ নিয়েও মন্ত্রিসভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সরকারি গুদামে সাড়ে সাত লাখ টনের ওপরে চাল রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল ঢুকেছে। চালের ব্যাপক মজুদ থাকার পরেও চালের দাম না কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করেছেন মন্ত্রী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই

আপডেট টাইম : ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মিয়ানমারের সঙ্গে সুসস্পর্ক বজায় রেখেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিয়ানমার বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধের উস্কানি দিলেও আমরা তাতে পড়িনি। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে গোটা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক সিনিয়র মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদানকালে মিয়ানমারের প্রতিনিধি রোহিঙ্গা ইস্যুতে নানাভাবে উস্কানি দিয়েছে। তিনি বলেন, বাড়াবাড়ি বা ঝগড়াঝাটি করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মিয়ানমার একটি খারাপ ও বর্বর জাতি। ওদের কাছ থেকে চাল আনার দরকার নেই। তাদের সঙ্গে ব্যবসা করব না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বজায় রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই আলোচনার এ সমস্যার সমাধান করা হবে। ওরা (মিয়ানমার) বর্বর জাতি আপনি ঠিকই বলেছেন। তার পরেও আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রাখতে হবে।

ভারত-পাকিস্তানের উদারহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে চরম বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই বলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কসহ সব বজায় রয়েছে। আমাদেরও মিয়ানমারের সঙ্গে সব যোগাযোগ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সেসব দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার পাঠিয়েছি। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ৯২ সালের একটি চুক্তি ছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সেই আলোকে একটি এমওইউ স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এটি স্বাক্ষরিত হলে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে। ওয়ার্ল্ড সাপোর্ট আরো পাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ঠ্যাঙ্গার চরে রাখা হবে। তাদেরকে সেখানে পাঠানো প্রোসেস করছি। এক্ষত্রে বিভিন্ন দেশে ও সংস্থার সহায়তা নিচ্ছি। সহায়তা যারাই দিক সরকারের মাধ্যমে আসতে হবে। কারণ পুরো বিষয়টিতে সরকারের সমম্বয় থাকতে হবে।

চালের মজুদ নিয়েও মন্ত্রিসভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সরকারি গুদামে সাড়ে সাত লাখ টনের ওপরে চাল রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল ঢুকেছে। চালের ব্যাপক মজুদ থাকার পরেও চালের দাম না কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করেছেন মন্ত্রী।