বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ উখিয়ার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোতে বড় আকারের নতুন পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প করতে যাচ্ছে সরকার। অসহিঞ্চু রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এ পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে।
আগে দু’টি ক্যাম্পের মাধ্যমে টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা হতো। দু’টি ক্যাম্পের মাত্র ৫৪ জন জনবল ছিল। এখন প্রতিটি ক্যাম্পে থাকবে একশ’র বেশি পুলিশ সদস্য। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা আসার পর শুরু হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জায়গা বাছাইয়ের কাজ। রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি হওয়ায় এই বর্তমানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত।
জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশ প্রতি ১১শ জনে একজন পুলিশ সদস্য থাকলেও কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় এ হার ১০ হাজারের বেশি। এ দু’টি উপজেলায় ৫ লাখ স্থানীয় বাসিন্দার পাশাপাশি অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে ১২ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা। বিশাল এ রোহিঙ্গা চাপ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি হওয়ায় এই চাপ বর্তমানে অনেকটা অসহনীয়।
২৫শে আগস্ট ব্যাপক আকারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আগে থেকেই উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান ছিল ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। সে সময় শুধুমাত্র দু’টি স্থায়ী আশ্রয় শিবিরে পুলিশের দু’টি ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করতো মাত্র ৫৪ জন পুলিশ সদস্য। বর্তমানে পুলিশের সদস্য সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হলেও তারা শুধুমাত্র আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে আসা ভি আই পিদের নিরাপত্তা এবং রাস্তায় যানজট নিরসনে কাজ করছে।
বর্তমানে রোহিঙ্গার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয় শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে নতুন ৫টি পুলিশ ক্যাম্প। সবশেষ গত সপ্তাহে আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত হয় ৯ বাংলাদেশী শ্রমিক। অস্ত্রসহ আটক করা হয় দু’জনকে। একই দিন, রামু উপজেলায় এক বাংলাদেশী যুবককে জবাই করে হত্যার অভিযোগে দু’রোহিঙ্গাকে পুলিশ আটক করে।