ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে আর্সেনিক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪.৫ লাখ অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত (৫০পিপিবি এর ওপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।তিনি জানান, বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকার নিরসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার হতে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য সরকার ৩’শ ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের

পুকুর/দিঘি/জলাশয়সমূহ পুন:খনন/সংস্কার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৮০৯টি পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের ১৪৩টি পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। এসময় মন্ত্রী আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন সংসদে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে আর্সেনিক

আপডেট টাইম : ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪.৫ লাখ অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত (৫০পিপিবি এর ওপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।তিনি জানান, বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকার নিরসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার হতে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য সরকার ৩’শ ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের

পুকুর/দিঘি/জলাশয়সমূহ পুন:খনন/সংস্কার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৮০৯টি পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের ১৪৩টি পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। এসময় মন্ত্রী আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন সংসদে।