ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শটগানের গুলি ছুড়ে প্রতি বছরের মতো এবারো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত। ১৮২৮ সালে প্রথম জামাতের পর এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতটি ঈদগাহ ময়দানের ১৯১তম জামাত।

এ বছর ঈদ জামাত শুরু হয় সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুফতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দেশের বৃহত্তম এ ঈদের জামাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে সকাল থেকে ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।

এদিকে, ২০১৬ সালের ৭ই জুলাই ঈদ জামাতের বাহিরে পুলিশকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে মাথায় রেখে গতবছরের মত এবারো জোরদার করা হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয় ড্রোন।

এছাড়াও মাঠ ও মাঠের আশপাশ এলাকায় ড্রোনে পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ঈদগাহ ময়দানের বাইরে, ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়। ঈদগাহ ময়দান, আশেপাশের এলাকা এবং অলিগলিসহ মাঠ সংলগ্ন চারপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আসা হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আওতায়। মাঠে স্থাপন করা হয় ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। এর চারটিতে পুলিশ বাহিনী ও দুইটিতে র্যাব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ঈদজামাতের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করে। এছাড়া মাঠে ব্যবহার করা হয় আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শটগানের গুলি ছুড়ে প্রতি বছরের মতো এবারো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত। ১৮২৮ সালে প্রথম জামাতের পর এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতটি ঈদগাহ ময়দানের ১৯১তম জামাত।

এ বছর ঈদ জামাত শুরু হয় সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুফতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দেশের বৃহত্তম এ ঈদের জামাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে সকাল থেকে ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।

এদিকে, ২০১৬ সালের ৭ই জুলাই ঈদ জামাতের বাহিরে পুলিশকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে মাথায় রেখে গতবছরের মত এবারো জোরদার করা হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয় ড্রোন।

এছাড়াও মাঠ ও মাঠের আশপাশ এলাকায় ড্রোনে পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ঈদগাহ ময়দানের বাইরে, ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়। ঈদগাহ ময়দান, আশেপাশের এলাকা এবং অলিগলিসহ মাঠ সংলগ্ন চারপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আসা হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আওতায়। মাঠে স্থাপন করা হয় ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। এর চারটিতে পুলিশ বাহিনী ও দুইটিতে র্যাব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ঈদজামাতের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করে। এছাড়া মাঠে ব্যবহার করা হয় আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর।