ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সংসদের বেসরকারি দিবসে আওয়ামী লীগের বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির আনীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও বেশ কয়েক জন সদস্যের সংশোধনীসহ গ্রহণ করা হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও সংশোধনীর ওপর দেয়া বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে রক্তক্ষরণ বাঙালি জাতির শুরু হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ৬১ জন সাক্ষির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষিরা ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে তা পড়লে যে কারোই চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজ যে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই টাস্কফোর্সের এক সভায় হত্যাকারীদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কোন স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু আইন মেনে রাজনীতি করেছেন। তাঁর সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আইন মাফিক চলতে চান। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সাধারণ আইনে করেছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা বাংলাদেশে কোন সম্পত্তি রাখার অধিকার রাখে না। হত্যাকারীদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে কোন নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না। তবে যাদের দন্ড কার্যকর হয়েছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হলে নতুন আইনের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি আইন সংসদে পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ব্যাপারেও ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
আইন মন্ত্রী সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন। পরে কন্ঠভোটে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত

আপডেট টাইম : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সংসদের বেসরকারি দিবসে আওয়ামী লীগের বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির আনীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও বেশ কয়েক জন সদস্যের সংশোধনীসহ গ্রহণ করা হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও সংশোধনীর ওপর দেয়া বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে রক্তক্ষরণ বাঙালি জাতির শুরু হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ৬১ জন সাক্ষির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষিরা ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে তা পড়লে যে কারোই চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজ যে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই টাস্কফোর্সের এক সভায় হত্যাকারীদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কোন স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু আইন মেনে রাজনীতি করেছেন। তাঁর সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আইন মাফিক চলতে চান। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সাধারণ আইনে করেছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা বাংলাদেশে কোন সম্পত্তি রাখার অধিকার রাখে না। হত্যাকারীদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে কোন নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না। তবে যাদের দন্ড কার্যকর হয়েছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হলে নতুন আইনের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি আইন সংসদে পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ব্যাপারেও ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
আইন মন্ত্রী সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন। পরে কন্ঠভোটে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।