ঢাকা , শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নকশা আনতে কোটি টাকার মহাআয়োজন

জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশা আনতে কোটি টাকার মহাআয়োজন করা হয়েছে। মূলত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরাতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচারাল আর্কাইভে থাকা জাতীয় সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার ৮৫৩টি নকশা আনতে একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে।

চলতি সপ্তাহেই এই প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাবে। স্পিকারের একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ্। তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ১৫ থেকে ২০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন। তারা লুই আই কানের নকশা শনাক্ত করার পর আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সেখানে যাবেন। ওই দলের প্রধান স্পিকারও হতে পারেন। এরপর যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে সেখান থেকে নকশা আনা হবে।

সূত্র জানায়, লুই আই কানের ৮৫৩টি নকশা আনবে জাতীয় সংসদ। নকশা প্রতি বাংলাদেশের খরচ হবে ১৯ ডলার করে। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি খরচ হবে। এটা প্রাথমিক হিসাব। খরচ আরো বাড়তে পারে।

২০১৪ সালে সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কানের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংসদ ভবনের মূল নকশা আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর লুই আই কানের প্রতিষ্ঠান ডেভিড অ্যান্ড উইজডম এর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে স্থাপত্য অধিদফতর। তার নকশাগুলো পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচারাল আর্কাইভে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে সেখানেও যোগাযোগ করা হয়।

পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে স্থাপত্য অধিদফতর থেকে দুইজন, গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন, পিডব্লিউডি থেকে একজন এবং সংসদ সচিবালয় থেকে একজন থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে সংসদের একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার উত্তর পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর সরিয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সেক্টর কমান্ডারদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কবরস্থানের জন্য কোনো জায়গা রাখা হয়নি- এটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় সরকার। এজন্য এত আয়োজন করে লুই কানের নকশা আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, লুই আই কানের নকশা আনতে কোটি টাকার মহাআয়োজন করেছে সরকার। মূলত জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর জন্যই এই আয়োজন। এটি কখনও সফল হতে দেয়া হবে না। বিএনপি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

জানা যায়, জিয়াউর রহমান এছাড়াও সংসদ ভবনের দক্ষিণ চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় থাকা জাতীয় কবরস্থানের সাতটি কবরও সরানো হবে। তবে সেখান থেকে সব কবর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেয়া হবে না। কারো কারো কবর নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে বা কোনো সরকারি কবরস্থানে সরিয়ে নেয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নকশা আনতে কোটি টাকার মহাআয়োজন

আপডেট টাইম : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০১৬

জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশা আনতে কোটি টাকার মহাআয়োজন করা হয়েছে। মূলত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরাতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচারাল আর্কাইভে থাকা জাতীয় সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার ৮৫৩টি নকশা আনতে একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে।

চলতি সপ্তাহেই এই প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাবে। স্পিকারের একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ্। তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ১৫ থেকে ২০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন। তারা লুই আই কানের নকশা শনাক্ত করার পর আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সেখানে যাবেন। ওই দলের প্রধান স্পিকারও হতে পারেন। এরপর যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে সেখান থেকে নকশা আনা হবে।

সূত্র জানায়, লুই আই কানের ৮৫৩টি নকশা আনবে জাতীয় সংসদ। নকশা প্রতি বাংলাদেশের খরচ হবে ১৯ ডলার করে। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি খরচ হবে। এটা প্রাথমিক হিসাব। খরচ আরো বাড়তে পারে।

২০১৪ সালে সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কানের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংসদ ভবনের মূল নকশা আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর লুই আই কানের প্রতিষ্ঠান ডেভিড অ্যান্ড উইজডম এর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে স্থাপত্য অধিদফতর। তার নকশাগুলো পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচারাল আর্কাইভে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে সেখানেও যোগাযোগ করা হয়।

পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে স্থাপত্য অধিদফতর থেকে দুইজন, গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন, পিডব্লিউডি থেকে একজন এবং সংসদ সচিবালয় থেকে একজন থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে সংসদের একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার উত্তর পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর সরিয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সেক্টর কমান্ডারদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কবরস্থানের জন্য কোনো জায়গা রাখা হয়নি- এটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় সরকার। এজন্য এত আয়োজন করে লুই কানের নকশা আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, লুই আই কানের নকশা আনতে কোটি টাকার মহাআয়োজন করেছে সরকার। মূলত জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর জন্যই এই আয়োজন। এটি কখনও সফল হতে দেয়া হবে না। বিএনপি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

জানা যায়, জিয়াউর রহমান এছাড়াও সংসদ ভবনের দক্ষিণ চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় থাকা জাতীয় কবরস্থানের সাতটি কবরও সরানো হবে। তবে সেখান থেকে সব কবর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেয়া হবে না। কারো কারো কবর নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে বা কোনো সরকারি কবরস্থানে সরিয়ে নেয়া হবে।