বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত নয়। তাই বাসায় বসে থাকলে বাতাসে এসে এই ভাইরাস আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। করোনাভাইরাস সর্দি ও কাশির ছোট অনু দিয়ে সংক্রমিত হয়। তাই এটি মাথায় রেখে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সেন্টার ফর অলটারিং লাইফস্টাইল ফর বেটার লিভিং এর ট্রেইনার ত্রিশংকু মল্লিক ১৯টি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
১. হাত দিয়ে মুখ ছোঁয়া বন্ধ করুন।
২. খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবেন না।
৩। গণপরিবহণ ব্যবহার বন্ধ করুন।
৪। যেখানে বেশি মানুষ একত্র হওয়ার সম্ভাবনা, যেমন বাজার, এসব জায়গা এড়িয়ে চলুন।
৫। বাইরে যেতে যে জুতা-স্যান্ডেল পরবেন, তা বাইরে রেখে বাসায় প্রবেশ করুন।
৬। ঘন ঘন সাবান বা ৬০ শতাংশ বা তার বেশি আগুনপানি সমৃদ্ধ হ্যান্ড রাব ব্যবহার করতে হবে।
৭। বাড়ির পুরো মেঝে দিনে অন্তত দুইবার এবং অতিথি চলে যাওয়ার পর একবার জীবাণুনাশক দিয়ে মুছবেন। চেয়ারের হাতল এবং যেসব জায়গায় মানুষের হাতের স্পর্শ লাগতে পারে, তা ঘন ঘন ৬০ শতাংশ আগুনপানি এর ডিজইনফ্যাক্ট্যান্ট দিয়ে মুছুন।
৮। পুষ্টিকর খাদ্য যেমন অর্গানিক শাক এবং সবজি, দুটোই প্রচুর পরিমাণে খাবেন।
৯। দিনের খাবারে দুইটি করে মাঝারি আকারের লেবুর রস রাখবেন।
১০। খাবারের সঙ্গে কালোজিরা ৫০ গ্রাম করে দিনে দুইবার খাবেন।
১১। মধু এক টেবিল চামচ করে যতটুকু সহ্য হয়, ততটুকু গরম ১০০০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করবেন।
১২। গলা খুশখুশ করলেই আধ ঘণ্টা পরপর খুশখুশানি না যাওয়া পর্যন্ত এক গ্লাস গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করবেন।
১৩। ভিটামিন সি ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট দুইটি করে দুপুরের খাবারের সঙ্গে এবং আবার রাতের খাবারের সঙ্গে খাবেন।
১৪। ভিটামিন ডি ২০০০ আই ইউ একটি করে দুপুরে এবং রাতে খাবারের সঙ্গে খাবেন।
১৫। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন।
১৬। প্রতিদিনের তিনবেলা খাবার তিনমাস নিয়ন্ত্রণ করবেন। এতে আপনার দেহে অটোফ্যাজি চালু হয়ে যায়। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
১৭। আপনার বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের আগলে রাখুন। তাদের একদমই বাইরে বের হতে দেবেন না। মনে রাখবেন এই সংক্রমণে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের সিংহভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ।
১৮। মেডিটেশন করুন।
১৯। বাসায় অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন।