বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মজবুত এবং উজ্জ্বল লম্বা চুলের স্বপ্ন দেখেন প্রায় সকলে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে চুল লম্বা করা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। অনেকেই চুল দ্রুত লম্বা করার লক্ষ্যে নানা কিছু করে থাকেন, ব্যাবহার করেন অনেক ধরণের প্রসাধনী এমনকি নামিদামি নানা ধরণের ঔষূধও খেয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু খাবার নিজের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখলেই চুল খুব তারাতারি লম্বা করা সম্ভব যা হয়তো অনেকেরই অজানা।
চুল লম্বা করা খুব সহজ। কিন্তু চুলের গোঁড়ায় অতিরিক্ত ধুলোবালি জমে চুলের বৃদ্ধিকে মন্থর করে দেয়। আবার অনেক সময় চুলে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যাবহারের ফলে চুল ভাঙতে শুরু করে। তবে চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য স্ক্যাল্পই সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে। স্ক্যাল্পে পুষ্টি যোগাতে খাদ্যের বিকল্প নেই। কাজেই চুল লম্বা করতে যে সকল পুষ্টি প্রয়োজন সে সকল পুষ্টিগুণ ভরপুর খাবার প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিৎ।
ডিম- ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন। এমনকি চুল মূলত তৈরি হয় যে উপাদান দিয়ে তা হলো প্রোটিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি প্রোটিন রাখা যায় তাহলে চুল খুব দ্রুত লম্বা হয়।
পালং শাক- পালং শাক সহ অন্যান্য সকল পাতা জাতীয় খাবারে অনেক বেশি পরিমানে আয়রন থাকে।শরীরে আয়রনের অভাব হলে চুল পরতে শুরু করে। আয়রনের অভাব হলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টিকর পদার্থ গুলো চুলে পৌঁছতে পারে না। যার ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়।
টক জাতীয় ফল- টক জাতীয় ফল গুলো প্রধানত ভিটামিন-সি বহন করে। প্রতিদিন ভিটামিন-সি খাবারের মাধ্যমে শরীরে নেওয়া উচিৎ। কারণ এ ভিটামিন টি শরীরে নিজে থেকে উৎপাদিত হয় না। লেবু হলো ভিটামিন-সির পাওয়ার হাউস। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবু পানি পান করলেও শরীরের জন্য যথেষ্ট। তবে এভাবে পান করতে গেলে অবশ্যই চিনির পরিবর্তে মধু অথবা অন্য কিছু ব্যাবহার করতে হবে।
গাজর- দ্রুত চুল লম্বা করতে চাইলে প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুসের বিকল্প নেই। গাজরে রয়েছে ভিটামিন-এ। শরীরের প্রতিটি কোষের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন-এ প্রধান ভূমিকা পালন করে। স্ক্যাল্পে চুল বড় করতে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন করে ভিটামিন-এ।
অ্যাভোকাডো- এ ফলটি ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ। চুলের বৃদ্ধি কে তরান্বিত করে। মাঝে মাঝে নানা কারনে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় তখন এ ভিটামিন বৃদ্ধি পুনরায় শুরু করে। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় অ্যাভোকাডো জুস খাওয়া যেতে পারে।
কুমড়া- কুমড়া তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন। চুলকে দ্রুত লম্বা এবং মজবুত করতে যথেষ্ট কার্যকরী। এছারাও এতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই। এ ভিটামিন শরীরের খতিগ্রস্থ কোষ মেরামত করে।
মিষ্টি আলু- বিটা ক্যারোটিনের অন্যতম ভাণ্ডার মিষ্টি আলু। চুলকে রুক্ষ-শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু চুলের জন্যই নয় শরীরের রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতেও মিষ্টি আলুর ভূমিকা রয়েছে।
আঙুর- এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত পলিফেনলিক যৌগ, যা কোষের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করে। আঙুরে উপস্থিত অলিগোমেরিক প্রানথোসায়ানিডিনস উপাদানটি চুল উঠা কমিয়ে আনে।পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করে। প্রতিদিন এক কাপের মত আঙুর খেলে শরীরের কোষের জ্বালাপোড়া রোধ হয়।