ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের আম যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে

দিনাজপুরের আমের কদর ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও। প্রথমবারের মতো এ জেলার আম ইংল্যান্ডে রপ্তানি হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা বলছেন, বিদেশে আম রপ্তানির ফলে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে আম রপ্তানির বিষয়টি ঘোষণা করেন উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের লি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে ৫০০ কেজি আম। এর মধ্যে রয়েছে বারি-৪ জাতের ৩০০ কেজি এবং ব্যানানা ম্যাংগো জাতের ২০০ কেজি আম। আজ দিনাজপুর থেকে এগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকা থেকে বিমানযোগে এই আম পৌঁছাবে ইংল্যান্ডে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম, বাগান মালিক মো. মোমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর কৃষি বিভাগ বলছে, মূলত দিনাজপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত হলেও ধীরে ধীরে আম চাষ বাড়ছে। দিনাজপুরের আম গুণে-মানে অনন্য হওয়ায় রপ্তানির উদ্যোগ নেয় স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের রপ্তানি যোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় জেলার বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের দারইল গ্রাম থেকে মমিনুল ইসলামের দুটি বাগানকে বেছে নেয় কৃষি বিভাগ। কীটনাশক ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে পরিচর্যা করা হয় এসব বাগানকে।

আম বাগান মালিক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমার বাগানের আম দেশের সীমানা পাড়ি দিয়ে প্রথমমারের মতো বিদেশে যাচ্ছে। আমার বাগানের আম বিষমুক্ত ও নিরাপদ। আশা করি আমার বাগানের উৎপাদিত আম বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করবে।

বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, দিনাজপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত। কিছুদিন আগে এই বিরলের লিচুই ফ্রান্সে রপ্তানি হয়। কিন্তু লিচুর পাশাপাশি দিনাজপুরে আমের ব্যাপক উৎপাদন হচ্ছে। তাই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী লিচুর মতো আমও বিদেশে রপ্তানি করার কার্যক্রম হাতে নেয়।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুরের লিচুর পাশাপাশি আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটির বাজার বৃদ্ধির লক্ষে রপ্তানির জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করে কৃষি অফিস। রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েই কয়েক মাস ধরে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উৎপাদন থেকে রপ্তানি পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে ছিল কঠোর নজরদারি। এমন উদ্যোগ কৃষির উন্নয়নে অবদান রাখবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরের আম যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে

আপডেট টাইম : ০৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

দিনাজপুরের আমের কদর ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও। প্রথমবারের মতো এ জেলার আম ইংল্যান্ডে রপ্তানি হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা বলছেন, বিদেশে আম রপ্তানির ফলে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে আম রপ্তানির বিষয়টি ঘোষণা করেন উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের লি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে ৫০০ কেজি আম। এর মধ্যে রয়েছে বারি-৪ জাতের ৩০০ কেজি এবং ব্যানানা ম্যাংগো জাতের ২০০ কেজি আম। আজ দিনাজপুর থেকে এগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকা থেকে বিমানযোগে এই আম পৌঁছাবে ইংল্যান্ডে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম, বাগান মালিক মো. মোমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর কৃষি বিভাগ বলছে, মূলত দিনাজপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত হলেও ধীরে ধীরে আম চাষ বাড়ছে। দিনাজপুরের আম গুণে-মানে অনন্য হওয়ায় রপ্তানির উদ্যোগ নেয় স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের রপ্তানি যোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় জেলার বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের দারইল গ্রাম থেকে মমিনুল ইসলামের দুটি বাগানকে বেছে নেয় কৃষি বিভাগ। কীটনাশক ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে পরিচর্যা করা হয় এসব বাগানকে।

আম বাগান মালিক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমার বাগানের আম দেশের সীমানা পাড়ি দিয়ে প্রথমমারের মতো বিদেশে যাচ্ছে। আমার বাগানের আম বিষমুক্ত ও নিরাপদ। আশা করি আমার বাগানের উৎপাদিত আম বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করবে।

বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, দিনাজপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত। কিছুদিন আগে এই বিরলের লিচুই ফ্রান্সে রপ্তানি হয়। কিন্তু লিচুর পাশাপাশি দিনাজপুরে আমের ব্যাপক উৎপাদন হচ্ছে। তাই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী লিচুর মতো আমও বিদেশে রপ্তানি করার কার্যক্রম হাতে নেয়।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুরের লিচুর পাশাপাশি আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটির বাজার বৃদ্ধির লক্ষে রপ্তানির জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করে কৃষি অফিস। রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েই কয়েক মাস ধরে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উৎপাদন থেকে রপ্তানি পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে ছিল কঠোর নজরদারি। এমন উদ্যোগ কৃষির উন্নয়নে অবদান রাখবে।