ঢাকা , শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় খেজুর

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খেজুর মুলত মধ্যপাচ্যের জনপ্রিয় ফল হলেও উপমহাদেশে এর যথেষ্ট কদর রয়েছে। আমাদের দেশে রোজার মাসে ইফতারের সময় সাধারণত খেজুরের কদর বেড়ে যায়।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,খেজুর এত বেশি পুষ্টিগুণে ভরপুর যে এটি সারাবছর খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

নরম আর মিষ্টি স্বাদের খেজুরের রয়েছে নানা পুষ্টি গুণ। স্থানভেদে একেক এলাকার খেজুর একেক রঙের হয়, কিন্তু সব রঙের খেজুরেরই কোনো না কোনো পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষ করে একটু কালচে রঙের খেজুরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, সালফার, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড, প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফলটি মন ও শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে,শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। একারণে এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।

ইউরোপিয়ান খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, কালো খেজুরে কার্বোহাট্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি যেমন-সুক্রোজ, গ্লুকোজ, ফ্রুটোজ থাকে যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এবং এই শক্তি দীর্ঘক্ষণ থাকে।

খেজুরে থাকা ভিটামিন ও খনিজ রক্তের লোহিতকণিকা তৈরিসহ সব ধরনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায্য করে।

শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য হার্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সব ধরনের কিংবা রঙের খেজুরে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম এবং বেশি পরিমানে পটাশিয়াম থাকে। এটা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।

খেজুর ত্বকের সুরক্ষায়ও দারুণ কাজ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হজমশক্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বকও থাকে ঝলমলে। খেজুর চুলের জন্যও বেশ উপকারী। এত পুষ্টিগুণ থাকায় শরীর ভাল রাখতে বিশেষজ্ঞরা তাই দিনে অন্তত দুইটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় খেজুর

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খেজুর মুলত মধ্যপাচ্যের জনপ্রিয় ফল হলেও উপমহাদেশে এর যথেষ্ট কদর রয়েছে। আমাদের দেশে রোজার মাসে ইফতারের সময় সাধারণত খেজুরের কদর বেড়ে যায়।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,খেজুর এত বেশি পুষ্টিগুণে ভরপুর যে এটি সারাবছর খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

নরম আর মিষ্টি স্বাদের খেজুরের রয়েছে নানা পুষ্টি গুণ। স্থানভেদে একেক এলাকার খেজুর একেক রঙের হয়, কিন্তু সব রঙের খেজুরেরই কোনো না কোনো পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষ করে একটু কালচে রঙের খেজুরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, সালফার, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড, প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফলটি মন ও শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে,শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। একারণে এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।

ইউরোপিয়ান খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, কালো খেজুরে কার্বোহাট্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি যেমন-সুক্রোজ, গ্লুকোজ, ফ্রুটোজ থাকে যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এবং এই শক্তি দীর্ঘক্ষণ থাকে।

খেজুরে থাকা ভিটামিন ও খনিজ রক্তের লোহিতকণিকা তৈরিসহ সব ধরনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায্য করে।

শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য হার্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সব ধরনের কিংবা রঙের খেজুরে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম এবং বেশি পরিমানে পটাশিয়াম থাকে। এটা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।

খেজুর ত্বকের সুরক্ষায়ও দারুণ কাজ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হজমশক্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বকও থাকে ঝলমলে। খেজুর চুলের জন্যও বেশ উপকারী। এত পুষ্টিগুণ থাকায় শরীর ভাল রাখতে বিশেষজ্ঞরা তাই দিনে অন্তত দুইটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।