ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন হার্বাল চায়ের স্বাস্থ্যগুণ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গরম গরম চা না হলে যেন দিনটাই শুরু হতে চায় না। আবার বৃষ্টি ভেজা দিনে শরীর চাঙ্গা করতে চাই শুধু এক কাপ গরম চা। শীতকালেও সেই চায়ের জুড়ি মেলা মেলা ভার৷ ওজন কমাতে বা ডিটক্স করতে গ্রিন চায়ের গুণের কথা এখন কারও অজানা নয়। তবে শুধু ডিটক্স করাতেই আটকে থাকলে চলবে না। হার্বাল চায়ের রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ।

জেনে নিন এমনই কিছু উপকারি হার্বাল চায়ের কথা—

বিছুটি:

নামটা শুনেই অবাক হলেন? এই পাতার কিন্তু অনেক গুণ। ক্লোরোফিলে পরিপূর্ণ হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে বিছুটি চা, তেমনই এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কিডনি পরিষ্কার রাখতেও ভালো কাজ করে।

পুদিনা চা :

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভোগা নারীদের শরীরে টেস্টোটেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পুদিনা চা বা স্পেয়ারমিন্ট টি।

আদা চা :

যে কোনও ব্যথা কমাতে উপকারি আদা চা। গ্লাইসেমিক রেট কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে জিঞ্জার টি।

ল্যাভেন্ডর চা :

এই ফুল শুধু দেখতেই সুন্দর তা নয়, এর এসেনশিয়াল অয়েল উৎকণ্ঠা, ব্যথা, মাইগ্রেন ও স্ট্রেসের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত উপকারি।

পেপারমিন্ট চা :

হজমের সমস্যা, পেটের অস্বস্তি নিমেষে দূর করতে দারুণ কার্যকর মেন্থল চা বা পেপারমিন্ট টি।

ড্যানডেলিয়ন টি :

এই বিশেষ মূলক অগ্ন্যাশয়, লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগলেও খেতে পারেন ড্যানডেলিয়ন চা।

লেমন বাম টি :

মিষ্টি লেবুর মতো সুগন্ধ এই পাতার। হজমের সমস্যা দূরে রাখার পাশাপাশি নার্ভের সমস্যা দূরে রাখে। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

তুলসি :

বহু যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসি। উতকণ্ঠায় ভোগার সমস্যায় উপকার পাবেন তুলসি চা খেলে। মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ রাখতেও কার্যকর তুলসি।

ক্যামোমাইল চা :

সুন্দর গন্ধের জন্য মুড ভালো করতেই খাওয়া হয় ক্যামোমাইল টি। তবে পেটের অস্বস্তি, আলসার, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব কাটাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

দারুচিনি চা :

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে সিনামন টি বা দারচিনি চায়ের। টাইপ টু ডায়াবেটিস, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যায় ভালো কাজ দেয় দারুচিনি চা।

যষ্টিমধু চা :

খাদ্যনালী ও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যষ্টিমধু চা। এলডিএল অক্সিডশন রুখে হার্টের সমস্যা দূরে রাখে, টেস্টোটেরনের সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই চা।

হলুদ চা :

অবসাদ কাটাতে, ব্যথা উপশমে, ওজন কমাতে দারুণ কাজ দেয় হলুদ চা বা টারমারিক টি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জেনে নিন হার্বাল চায়ের স্বাস্থ্যগুণ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গরম গরম চা না হলে যেন দিনটাই শুরু হতে চায় না। আবার বৃষ্টি ভেজা দিনে শরীর চাঙ্গা করতে চাই শুধু এক কাপ গরম চা। শীতকালেও সেই চায়ের জুড়ি মেলা মেলা ভার৷ ওজন কমাতে বা ডিটক্স করতে গ্রিন চায়ের গুণের কথা এখন কারও অজানা নয়। তবে শুধু ডিটক্স করাতেই আটকে থাকলে চলবে না। হার্বাল চায়ের রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ।

জেনে নিন এমনই কিছু উপকারি হার্বাল চায়ের কথা—

বিছুটি:

নামটা শুনেই অবাক হলেন? এই পাতার কিন্তু অনেক গুণ। ক্লোরোফিলে পরিপূর্ণ হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে বিছুটি চা, তেমনই এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কিডনি পরিষ্কার রাখতেও ভালো কাজ করে।

পুদিনা চা :

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভোগা নারীদের শরীরে টেস্টোটেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পুদিনা চা বা স্পেয়ারমিন্ট টি।

আদা চা :

যে কোনও ব্যথা কমাতে উপকারি আদা চা। গ্লাইসেমিক রেট কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে জিঞ্জার টি।

ল্যাভেন্ডর চা :

এই ফুল শুধু দেখতেই সুন্দর তা নয়, এর এসেনশিয়াল অয়েল উৎকণ্ঠা, ব্যথা, মাইগ্রেন ও স্ট্রেসের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত উপকারি।

পেপারমিন্ট চা :

হজমের সমস্যা, পেটের অস্বস্তি নিমেষে দূর করতে দারুণ কার্যকর মেন্থল চা বা পেপারমিন্ট টি।

ড্যানডেলিয়ন টি :

এই বিশেষ মূলক অগ্ন্যাশয়, লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগলেও খেতে পারেন ড্যানডেলিয়ন চা।

লেমন বাম টি :

মিষ্টি লেবুর মতো সুগন্ধ এই পাতার। হজমের সমস্যা দূরে রাখার পাশাপাশি নার্ভের সমস্যা দূরে রাখে। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

তুলসি :

বহু যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসি। উতকণ্ঠায় ভোগার সমস্যায় উপকার পাবেন তুলসি চা খেলে। মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ রাখতেও কার্যকর তুলসি।

ক্যামোমাইল চা :

সুন্দর গন্ধের জন্য মুড ভালো করতেই খাওয়া হয় ক্যামোমাইল টি। তবে পেটের অস্বস্তি, আলসার, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব কাটাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

দারুচিনি চা :

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে সিনামন টি বা দারচিনি চায়ের। টাইপ টু ডায়াবেটিস, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যায় ভালো কাজ দেয় দারুচিনি চা।

যষ্টিমধু চা :

খাদ্যনালী ও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যষ্টিমধু চা। এলডিএল অক্সিডশন রুখে হার্টের সমস্যা দূরে রাখে, টেস্টোটেরনের সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই চা।

হলুদ চা :

অবসাদ কাটাতে, ব্যথা উপশমে, ওজন কমাতে দারুণ কাজ দেয় হলুদ চা বা টারমারিক টি।