ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই গরমে সতেজ থাকতে যা খাবেন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বয়স, স্বাস্থ্য, পারিবারিক অবস্থা, চাহিদা, সময়, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি অনুযায়ী খাবারের তালিকা ভিন্ন। কিন্তু আসল কথা হলো- সুষম খাদ্য খাওয়া আমাদের জন্য জরুরি। তাই গরমকালেও তার ব্যতিক্রম হয় না।

গরমে পানীয়
একজন স্বাভাবিক পূর্ণ বয়সের মানুষকে গরমকালে কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানীয় পানের প্রয়োজন। এর মধ্যে বেশির ভাগ থাকবে নিরাপদ পানি। তারপর শরবত (চিনি বা গুড় ও লেবুর তৈরি, ইসবগুলের বা বেলের শরবত), ফলের রস, জুস, লাচ্ছি (যা খুব বেশি ঠাণ্ডা হবে না), হালকা গরম চা পানীয়, ডাবের পানি এবং ক্ষেত্রবিশেষে খাবার স্যালাইন।

সকালের খাবার

নাশতা হিসেবে দই-চিড়া, ছোলা ভেজানো, ছাতু, রুটি, পাউরুটি, ভাত, ডাল বা তরকারি। গ্রীষ্মকালীন যে কোনো ফল।

দুপুরের খাবার

যারা দুপুরে ভারী খাবার গ্রহণ করেন তাদের জন্য ভাত, প্রচুর শাকসবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না, ডালসহ গোশত, ডিম অভ্যাস মতো খেতে পারেন। যাই খান না কেন সালাদ কিন্তু থাকবেই। যারা দুপুরে হালকা খাবার গ্রহণ করেন তাদের জন্য বড় সুবিধা হলো প্রচুর পরিমাণ ফল যেমন- তরমুজ, আম, কাঁঠাল, শসা, কলা, লিচু খাবেন।

সন্ধ্যার খাবার

সন্ধ্যায় শরবত বা চা-কফির পাশাপাশি রসালো ফল তরমুজ, জামরুল, শসা খেতে পারেন।

রাতের খাবার

রাতের খাবার হবে খুবই সহজ। ভাত বা রুটি, সঙ্গে মাছ, সবজি, ডাল বা দুধ-আম খেতে পারেন অল্প পরিমাণে।

শোবার আগে

শোবার আগে এক গ্লাস পানি বা হালকা শরবত বা অভ্যাস থাকলে এক গ্লাস দুধ। তার মানে এই নয়, গরমকালে পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়া যাবে না। খাওয়া যাবে, তবে তা পরিমাণ মতো। ওভারলোডিং করা যাবে না।

টিপস

অন্তত দিনে দুবার ভালোভাবে গোসল করতে পারেন। গোসলের পর পাউডার, ডিওডেরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। গরমে বন্ধ জুতা বা মোজা থেকে পায়ে গন্ধ হলে নিমপাতা ও হলুদ একসঙ্গে বেটে পায়ে লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। রোদে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন, সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে তরল ও রসালো খাবার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এই গরমে সতেজ থাকতে যা খাবেন

আপডেট টাইম : ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বয়স, স্বাস্থ্য, পারিবারিক অবস্থা, চাহিদা, সময়, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি অনুযায়ী খাবারের তালিকা ভিন্ন। কিন্তু আসল কথা হলো- সুষম খাদ্য খাওয়া আমাদের জন্য জরুরি। তাই গরমকালেও তার ব্যতিক্রম হয় না।

গরমে পানীয়
একজন স্বাভাবিক পূর্ণ বয়সের মানুষকে গরমকালে কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানীয় পানের প্রয়োজন। এর মধ্যে বেশির ভাগ থাকবে নিরাপদ পানি। তারপর শরবত (চিনি বা গুড় ও লেবুর তৈরি, ইসবগুলের বা বেলের শরবত), ফলের রস, জুস, লাচ্ছি (যা খুব বেশি ঠাণ্ডা হবে না), হালকা গরম চা পানীয়, ডাবের পানি এবং ক্ষেত্রবিশেষে খাবার স্যালাইন।

সকালের খাবার

নাশতা হিসেবে দই-চিড়া, ছোলা ভেজানো, ছাতু, রুটি, পাউরুটি, ভাত, ডাল বা তরকারি। গ্রীষ্মকালীন যে কোনো ফল।

দুপুরের খাবার

যারা দুপুরে ভারী খাবার গ্রহণ করেন তাদের জন্য ভাত, প্রচুর শাকসবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না, ডালসহ গোশত, ডিম অভ্যাস মতো খেতে পারেন। যাই খান না কেন সালাদ কিন্তু থাকবেই। যারা দুপুরে হালকা খাবার গ্রহণ করেন তাদের জন্য বড় সুবিধা হলো প্রচুর পরিমাণ ফল যেমন- তরমুজ, আম, কাঁঠাল, শসা, কলা, লিচু খাবেন।

সন্ধ্যার খাবার

সন্ধ্যায় শরবত বা চা-কফির পাশাপাশি রসালো ফল তরমুজ, জামরুল, শসা খেতে পারেন।

রাতের খাবার

রাতের খাবার হবে খুবই সহজ। ভাত বা রুটি, সঙ্গে মাছ, সবজি, ডাল বা দুধ-আম খেতে পারেন অল্প পরিমাণে।

শোবার আগে

শোবার আগে এক গ্লাস পানি বা হালকা শরবত বা অভ্যাস থাকলে এক গ্লাস দুধ। তার মানে এই নয়, গরমকালে পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়া যাবে না। খাওয়া যাবে, তবে তা পরিমাণ মতো। ওভারলোডিং করা যাবে না।

টিপস

অন্তত দিনে দুবার ভালোভাবে গোসল করতে পারেন। গোসলের পর পাউডার, ডিওডেরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। গরমে বন্ধ জুতা বা মোজা থেকে পায়ে গন্ধ হলে নিমপাতা ও হলুদ একসঙ্গে বেটে পায়ে লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। রোদে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন, সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে তরল ও রসালো খাবার।