ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপচর্চায় খাওয়ার সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খাওয়ার সামগ্রী দিয়ে ঘরোয়া-ভাবে রূপচর্চা আগেও করা হতো এবং এখনো হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগে কি না সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রূপ বিশেষজ্ঞরা।বাড়িতে মুখমণ্ডলে বেসন মাখেন অনেকে। প্রসাধন বিজ্ঞানী ফ্লোরেন্স আদেপজু বলছেন, ছোলা দিয়ে বানানো বেসন হয়ত ত্বক মসৃণ করতে কিছুটা আসতে পারে। কিন্তু  এগুলো ত্বকে লাগানোর জন্য বানানো হয় না। তাই রূপচর্চায় এর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

অনেকে রূপচর্চায় ঘি ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঘি খুব আঠালো বস্তু। এতে যে উচ্চমাত্রায় চর্বি রয়েছে যা ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। আমি বিউটি টিপ হিসেবে এটিকে না বলবো।

খসখসে চুল অনেকেরই খুব অপছন্দ। শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার দিলে চুল নরম হয় বলে বিউটিশিয়ানরা বলে থাকেন। চুলে ডিম মাসাজ করে তা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার পরও নাকি চুল নরম হয়। কাচা ডিমের গন্ধ একদম সুখকর না হলেও বহু মেয়েদের এটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। শরীরের প্রোটিন চুলের গোড়াকে শক্ত করে।

হেয়ার আর্টিস্ট টলু আগোরো বলছেন, আমাদের চুলের ভেতরটাতে রয়েছে প্রোটিন। আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন থাকলে সেটি চুলের গোড়াকে শক্ত করে। এতে চুল ভাঙা বা আগা ফাটা কমে। তবে ডিমে যে প্রোটিনের অণু রয়েছে তা চুলের কাণ্ডের জন্য অনেক বড়। ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামতে তা কাজ করে এই ধারনার সাথে আমি একমত নই।

শরীরের লোম অনেকের অপছন্দ। অনেকেই হাত, পা ও মুখমণ্ডলের ত্বকের অতিরিক্ত লোম তুলে ফেলেন। অনেকে পাতলা লোম ব্লিচ বা সাদা করেন। লেবুর রসের এই ক্ষমতা আছে বল মেনে করা হয়। লেবুর রসে মধু মিশিয়ে লোমের উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে রোদে বসে থাকলে লোমের রঙ হালকা হয় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।

স্টাইলিস্ট ম্যাগাজিনের বিউটি এডিটর লুসি পার্টিংটন জানান, এটি কাজে আসে। তবে তিনি এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছেন।

তিনি বলছেন, ত্বকে মধু মিশ্রিত লেবুর রস লাগিয়ে রোদে বসে থাকলে সূর্যের আলোতে ত্বক কি পরিমাণে পুড়ে যাবে চিন্তা করুনতো একবার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শরীরের লোমকে সহজভাবে নিন। লোকে কি ভাবল তাতে কি আসে যায়?

চুল চকচকে করতে অনেকে ভিনেগার ব্যবহার করেন। হেয়ারড্রেসার ড্যানিয়েল ফারলে ম্যাকসুইনি বলছেন, ভিনেগারের পরিষ্কার করার ক্ষমতা আসলেই আছে। এতে যে অ্যাসিড রয়েছ তা যা চুলে জমা যেকোনো ময়লা পরিষ্কার করে। তাতে চুল চকচক করবে সেটাই স্বাভাবিক। অ্যাসিড হয়ত চুল মসৃণও করে। তবে যাদের চুল শুষ্কও তাদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

রূপচর্চায় খাওয়ার সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ খাওয়ার সামগ্রী দিয়ে ঘরোয়া-ভাবে রূপচর্চা আগেও করা হতো এবং এখনো হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগে কি না সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রূপ বিশেষজ্ঞরা।বাড়িতে মুখমণ্ডলে বেসন মাখেন অনেকে। প্রসাধন বিজ্ঞানী ফ্লোরেন্স আদেপজু বলছেন, ছোলা দিয়ে বানানো বেসন হয়ত ত্বক মসৃণ করতে কিছুটা আসতে পারে। কিন্তু  এগুলো ত্বকে লাগানোর জন্য বানানো হয় না। তাই রূপচর্চায় এর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

অনেকে রূপচর্চায় ঘি ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঘি খুব আঠালো বস্তু। এতে যে উচ্চমাত্রায় চর্বি রয়েছে যা ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। আমি বিউটি টিপ হিসেবে এটিকে না বলবো।

খসখসে চুল অনেকেরই খুব অপছন্দ। শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার দিলে চুল নরম হয় বলে বিউটিশিয়ানরা বলে থাকেন। চুলে ডিম মাসাজ করে তা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার পরও নাকি চুল নরম হয়। কাচা ডিমের গন্ধ একদম সুখকর না হলেও বহু মেয়েদের এটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। শরীরের প্রোটিন চুলের গোড়াকে শক্ত করে।

হেয়ার আর্টিস্ট টলু আগোরো বলছেন, আমাদের চুলের ভেতরটাতে রয়েছে প্রোটিন। আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন থাকলে সেটি চুলের গোড়াকে শক্ত করে। এতে চুল ভাঙা বা আগা ফাটা কমে। তবে ডিমে যে প্রোটিনের অণু রয়েছে তা চুলের কাণ্ডের জন্য অনেক বড়। ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামতে তা কাজ করে এই ধারনার সাথে আমি একমত নই।

শরীরের লোম অনেকের অপছন্দ। অনেকেই হাত, পা ও মুখমণ্ডলের ত্বকের অতিরিক্ত লোম তুলে ফেলেন। অনেকে পাতলা লোম ব্লিচ বা সাদা করেন। লেবুর রসের এই ক্ষমতা আছে বল মেনে করা হয়। লেবুর রসে মধু মিশিয়ে লোমের উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে রোদে বসে থাকলে লোমের রঙ হালকা হয় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।

স্টাইলিস্ট ম্যাগাজিনের বিউটি এডিটর লুসি পার্টিংটন জানান, এটি কাজে আসে। তবে তিনি এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছেন।

তিনি বলছেন, ত্বকে মধু মিশ্রিত লেবুর রস লাগিয়ে রোদে বসে থাকলে সূর্যের আলোতে ত্বক কি পরিমাণে পুড়ে যাবে চিন্তা করুনতো একবার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শরীরের লোমকে সহজভাবে নিন। লোকে কি ভাবল তাতে কি আসে যায়?

চুল চকচকে করতে অনেকে ভিনেগার ব্যবহার করেন। হেয়ারড্রেসার ড্যানিয়েল ফারলে ম্যাকসুইনি বলছেন, ভিনেগারের পরিষ্কার করার ক্ষমতা আসলেই আছে। এতে যে অ্যাসিড রয়েছ তা যা চুলে জমা যেকোনো ময়লা পরিষ্কার করে। তাতে চুল চকচক করবে সেটাই স্বাভাবিক। অ্যাসিড হয়ত চুল মসৃণও করে। তবে যাদের চুল শুষ্কও তাদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা