ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বালিশ মিষ্টি’ খেয়ে একই পরিবারের ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার একই পরিবারের সরকারি কর্মকর্তাসহ ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ১০ জনকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফারজানা নাসরীন, ঈদে বাড়িতে আসা তার দেবর মীর্জা শিমুল রাজশাহীর এসিল্যন্ড সহ পরিবারের সকলেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঈদের আনন্দ আর নেই তাদের পরিবারে। গত রবিবার সকাল থেকে তারা অসুস্থ হয়ে একে একে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। বাকী চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফারজানা নাসরীন জানান, তার ননদ রাবেয়া আক্তার গত শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের বাবার বাড়ি (মীর্জা বাড়িতে) আসার সময় নেত্রকোনার খান মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কয়েক প্যাকেট বালিশ মিষ্টি নিয়ে আসেন। এরপর রাতে সবাই কম বেশি বালিশ মিষ্টি খেয়েছেন। পরে সেহরির পর থেকে একজন একজন করে বমি করতে থাকেন। সেই সাথে শুরু হয় পেটে ব্যাথা। এরপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এমনি করতে করতে দিনভর ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে চারজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও ১০ জন হাসপাতালেই রয়ে গেছেন।

এসকল অসুস্থ হওয়া রোগীসহ আশপাশের মানুষজন বলছেন সরকারি তদারকি নেই মিষ্টির দোকানগুলোতে। যে কারণে তারা যা খুশি তাই উপকরণ ব্যবহার করে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এ এস এম তানজিরুল ইসলাম বলেন, ফুড পয়জনের শিকার হয়েই বর্তমানে একই পরিবারের ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

‘বালিশ মিষ্টি’ খেয়ে একই পরিবারের ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট টাইম : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার একই পরিবারের সরকারি কর্মকর্তাসহ ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ১০ জনকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফারজানা নাসরীন, ঈদে বাড়িতে আসা তার দেবর মীর্জা শিমুল রাজশাহীর এসিল্যন্ড সহ পরিবারের সকলেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঈদের আনন্দ আর নেই তাদের পরিবারে। গত রবিবার সকাল থেকে তারা অসুস্থ হয়ে একে একে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। বাকী চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফারজানা নাসরীন জানান, তার ননদ রাবেয়া আক্তার গত শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের বাবার বাড়ি (মীর্জা বাড়িতে) আসার সময় নেত্রকোনার খান মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কয়েক প্যাকেট বালিশ মিষ্টি নিয়ে আসেন। এরপর রাতে সবাই কম বেশি বালিশ মিষ্টি খেয়েছেন। পরে সেহরির পর থেকে একজন একজন করে বমি করতে থাকেন। সেই সাথে শুরু হয় পেটে ব্যাথা। এরপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এমনি করতে করতে দিনভর ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে চারজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও ১০ জন হাসপাতালেই রয়ে গেছেন।

এসকল অসুস্থ হওয়া রোগীসহ আশপাশের মানুষজন বলছেন সরকারি তদারকি নেই মিষ্টির দোকানগুলোতে। যে কারণে তারা যা খুশি তাই উপকরণ ব্যবহার করে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এ এস এম তানজিরুল ইসলাম বলেন, ফুড পয়জনের শিকার হয়েই বর্তমানে একই পরিবারের ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।