ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকরা

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে চাষাবাদের মাধ্যমে দূষণের সমস্যা নিরসন করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) এই প্লাস্টিক ফার্মিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে প্রথমে বিভিন্ন জলাশয় থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করা হয়। এরপর এই পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে মাটি ও কম্পোস্টের মাধ্যমে বীজ বপন করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও পিরোজপুরের ভূমিহীন কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে কর্মকর্তারা অঞ্চলের ভূমিহীন কৃষকদের প্লাস্টিক ফার্মিং পদ্ধতি শেখান। এছাড়া, গ্রামে গ্রামে কৃষকদের প্লাস্টিক ফার্মিং শেখাতে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখানোর কর্মসূচি এবং একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা হয়।

ফলে ২০টি গ্রামের ২ হাজার ১০০ জন কৃষক প্লাস্টিক ফার্মিংয়ের আওতায় আসেন এবং তারা নিজস্ব প্রচেষ্টায় শীতকালীন শাকসবজি ফলনে বেশ সফল হন। প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারসহ ভূমিহীন কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে উদ্যোগটি ভবিষ্যতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে চাষাবাদের মাধ্যমে দূষণের সমস্যা নিরসন করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) এই প্লাস্টিক ফার্মিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে প্রথমে বিভিন্ন জলাশয় থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করা হয়। এরপর এই পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে মাটি ও কম্পোস্টের মাধ্যমে বীজ বপন করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও পিরোজপুরের ভূমিহীন কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে কর্মকর্তারা অঞ্চলের ভূমিহীন কৃষকদের প্লাস্টিক ফার্মিং পদ্ধতি শেখান। এছাড়া, গ্রামে গ্রামে কৃষকদের প্লাস্টিক ফার্মিং শেখাতে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখানোর কর্মসূচি এবং একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা হয়।

ফলে ২০টি গ্রামের ২ হাজার ১০০ জন কৃষক প্লাস্টিক ফার্মিংয়ের আওতায় আসেন এবং তারা নিজস্ব প্রচেষ্টায় শীতকালীন শাকসবজি ফলনে বেশ সফল হন। প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারসহ ভূমিহীন কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে উদ্যোগটি ভবিষ্যতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।