ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় অনিবন্ধিত রিকশা চলতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

ঢাকা শহরে অনিবন্ধিত ও অবৈধ রিকশা আর চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র বলেন, ধাপে ধাপে এসব অনিবন্ধিত ও অবৈধ রিকশা সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধ করা হবে।

বুধবার ধানমন্ডি ২/এ এলাকায় রিকশা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মেয়র তাপস এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া অন্যান্য সব রিকশাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত হোক কিংবা অনিবন্ধনকৃত পায়ে চালিত রিকশা হোক, এগুলো ঢাকা শহরে চলতে পারবে না। এই কার্যক্রম একদিনে করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। রিকশা মালিক সমিতিও রাজি হয়েছে যে, নিবন্ধিত রিকসা ছাড়া ঢাকা শহরে তারা আর কোনো রিকশা পরিচালনা করবেন না।

যান চলাচল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে রিকশা অত্যন্ত কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ একটি বাহন; যা দিয়ে এখনো ঢাকা শহরের প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ যাতায়াত করেন। নির্ধারিত জায়গা থেকে যাত্রীরা রিকশায় ওঠবে এবং নির্ধারিত জায়গায় আবার নেমে যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাত মসজিদ সড়ক, ধানমন্ডির পশ্চিম প্রান্তের ঝিগাতলা, হাজারীবাগে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সেটিকে আরও সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য নির্ধারিত স্থানে রিকশা রাখার স্থান তথা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বড় বড় বহুতল যে ভবনগুলো রয়েছে, তাদের নির্ধারিত গাড়ি পার্কিংয়ের বাইরেও তারা রাস্তার উপরে যত্রতত্র গাড়ি রাখে। এটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এর বিরুদ্ধেও অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাদুকরি কোনো সমাধান নেই। সুনির্দিষ্ট একটি কাজ করলে এডিস মশা পুরোটা বিলুপ্ত হবে, এ ধরনের কোনো সমাধান নেই। এর উৎস নিধনে সফল এবং আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও কাজী বোরহান উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় অনিবন্ধিত রিকশা চলতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

আপডেট টাইম : ০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

ঢাকা শহরে অনিবন্ধিত ও অবৈধ রিকশা আর চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র বলেন, ধাপে ধাপে এসব অনিবন্ধিত ও অবৈধ রিকশা সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধ করা হবে।

বুধবার ধানমন্ডি ২/এ এলাকায় রিকশা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মেয়র তাপস এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া অন্যান্য সব রিকশাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত হোক কিংবা অনিবন্ধনকৃত পায়ে চালিত রিকশা হোক, এগুলো ঢাকা শহরে চলতে পারবে না। এই কার্যক্রম একদিনে করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। রিকশা মালিক সমিতিও রাজি হয়েছে যে, নিবন্ধিত রিকসা ছাড়া ঢাকা শহরে তারা আর কোনো রিকশা পরিচালনা করবেন না।

যান চলাচল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে রিকশা অত্যন্ত কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ একটি বাহন; যা দিয়ে এখনো ঢাকা শহরের প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ যাতায়াত করেন। নির্ধারিত জায়গা থেকে যাত্রীরা রিকশায় ওঠবে এবং নির্ধারিত জায়গায় আবার নেমে যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাত মসজিদ সড়ক, ধানমন্ডির পশ্চিম প্রান্তের ঝিগাতলা, হাজারীবাগে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সেটিকে আরও সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য নির্ধারিত স্থানে রিকশা রাখার স্থান তথা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বড় বড় বহুতল যে ভবনগুলো রয়েছে, তাদের নির্ধারিত গাড়ি পার্কিংয়ের বাইরেও তারা রাস্তার উপরে যত্রতত্র গাড়ি রাখে। এটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এর বিরুদ্ধেও অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাদুকরি কোনো সমাধান নেই। সুনির্দিষ্ট একটি কাজ করলে এডিস মশা পুরোটা বিলুপ্ত হবে, এ ধরনের কোনো সমাধান নেই। এর উৎস নিধনে সফল এবং আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও কাজী বোরহান উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।