ভেজাল ও নিম্ন মানের ওষুধ তৈরি করায় সংসদীয় কমিটির সুপারিশে ওষুধ প্রস্তুতকারী ২০টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
যে কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়, সেগুলো হল- এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফিনা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল,
ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো ক্যামিকেল, রিদ ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুন ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল ও ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে গঠিত একটি তদন্ত দলের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বুধবার ২০টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি।
এর একদিন বাদে সচিবালয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
এছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক (নন-পেনিসিলিন, পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন গ্রুপ) উৎপাদনের অনুমতি বাতিল, ২২টি কোম্পানির পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়েটিক উৎপাদনের অনুমতি স্থগিত করার সুপারিশও করে সংসদীয় কমিটি।
সংসদীয় কমিটির এসব সুপারিশও নীতিগতভাবে গ্রহণ করে পর্যালোচনার মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এই বৈঠকে ছিলেন।