ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিফ জাস্টিস কীভাবে বললেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই’ প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের ওপর নেই।’ সোমবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না আমাদের চিফ জাস্টিস কীভাবে বললেন, আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই।’

বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এর উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি একটু আগে বললাম একজন নেত্রীর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলায় ১৪০ দিন সময় চায় আর সেটা দেয়া হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে বলেই তো এই সময়টা দিতে পারছে। নাহলে তো দিতে পারত না।’

দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলেও যারা চিৎকার করে তাদেরও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘দেখলাম অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। যারা এই রিপোর্ট করছে তাদের বলব, টেলিভিশনগুলোতে বসে বসে দিনরাত আমাদের বিরুদ্ধে সমানে কথা বলা হচ্ছে। টক শো, আলোচনা…একেবারে স্বাধীনভাবে। সরাসরি কথা বলা হচ্ছে। কই কেউ কি গিয়ে গলা টিপে ধরে। কেউ তো তা করে না। সংবাদপত্র লিখেই যাচ্ছে।’

ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া কারও মানহানি করলে আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এর জন্য আইনের আশ্রয় নিলে সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ নয় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাপনী বক্তব্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমামসহ সমাজের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এসবের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চিফ জাস্টিস কীভাবে বললেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০১৭

‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই’ প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের ওপর নেই।’ সোমবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না আমাদের চিফ জাস্টিস কীভাবে বললেন, আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই।’

বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এর উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি একটু আগে বললাম একজন নেত্রীর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলায় ১৪০ দিন সময় চায় আর সেটা দেয়া হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে বলেই তো এই সময়টা দিতে পারছে। নাহলে তো দিতে পারত না।’

দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলেও যারা চিৎকার করে তাদেরও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘দেখলাম অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। যারা এই রিপোর্ট করছে তাদের বলব, টেলিভিশনগুলোতে বসে বসে দিনরাত আমাদের বিরুদ্ধে সমানে কথা বলা হচ্ছে। টক শো, আলোচনা…একেবারে স্বাধীনভাবে। সরাসরি কথা বলা হচ্ছে। কই কেউ কি গিয়ে গলা টিপে ধরে। কেউ তো তা করে না। সংবাদপত্র লিখেই যাচ্ছে।’

ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া কারও মানহানি করলে আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এর জন্য আইনের আশ্রয় নিলে সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ নয় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাপনী বক্তব্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমামসহ সমাজের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এসবের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।