সর্বোচ্চ আদালতের সামনে থেকে মূর্তি (ভাস্কর্য)সরিয়ে সরকার বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, স্বীকৃতির জন্য গণভবনে আয়োজিত আলেমদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে যে অনুরোধ করেছিলাম, তা তিনি রক্ষা করেছেন। এ দেশের নাগরিক আমি এবং এদেশের আলেমসমাজসহ আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে আনন্দ ও পুলক অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসাফল্যকে আলেমসমাজ একটি যৌক্তিক, প্রয়োজনীয় ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে। এতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিই সংযুক্ত হবে।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার প্রচার সম্পাদক মাসউদুল কাদির স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা মাসউদ এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি কথা রেখেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এ দেশের আলেমসমাজের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই, সরকারের সব কলাকুশলি ও সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষকে।
ন্যায়বিচারের প্রতীকের নামে এই্ থেমিস দেবীকে পুনঃস্থাপনের চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমরা ভাস্কর্যের বিরোধী নই। ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন কোনোভাবেই কাম্য নয়, ঠিক নয়। এরকম যেকোনো কাজে এ দেশের আলেমউলামা, ধর্মভীরু মানুষের রুচিবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।