ঢাকা , সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে নানা খেলা শুরু হবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির অন্দরমহলে নানা খেলা শুরু হবে। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনী ছক আঁকা হয়েছিল। নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভোটযুদ্ধের বাইরে রেখে। এমনকি ভাঙনের মধ্য দিয়ে বিএনপির একাংশকে নির্বাচনে আনার ছক হতে পারে।

জিয়া আরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার প্রায় শেষের পথে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মামলার রায়ে দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিতই হবেন না, কারাজীবনে যাবেন। এমনকি বেগম খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপীল করলেও সেটি তার অনুকূলে তো যাবেই না, বরং ফয়সালা হবে ভোটের আগেই।

সরকারের ওপর মহল থেকে বলা হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সবার অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে যত উন্নয়নই হোক না কেন সরকারী দলীয় জোট ভোটযুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জে পরবে। তাই ভোট যত কাছে আসবে, খেলা তত জমজমাট হয়ে উঠবে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখা ও বিএনপি ভাঙার কূট রাজনীতি তৎপর হবে।

রমজানের ইফতার ঘিরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিন সরকার বিরোধী হার্ড লাইনে কথা বলেছেন। এতে করে মিডিয়া কাভারেজই পাচ্ছেন না, দলের নেতাকর্মীরাও চাঙা হচ্ছেন। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তিনি ঈদের পর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদমুখর হয়েছে বিএনপি। বিভিন্ন মহলও এটিকে নিন্দা জানিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার সেটি করতে পারবে কি না? কারণ সরকার সেই সুযোগ বিএনপিকে দিচ্ছে না। আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করে দেবে, সারাদেশের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা রয়েছে তা ফের সময় মতো সচল করে। আন্দোলনে গেলেই পুরোনো মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পথ নেবে সরকার। আইনের পথ ধরেই আন্দোলন ও নির্বাচনে বেকায়দায় ফেলবে বিএনপিকে। সরকারের বিভিন্ন মহলে আলোচনাকালে এমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগামী বছরের শুরু থেকেই রাজনীতির নানা খেলা দৃশ্যমান হতে থাকবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে নানা খেলা শুরু হবে

আপডেট টাইম : ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির অন্দরমহলে নানা খেলা শুরু হবে। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনী ছক আঁকা হয়েছিল। নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভোটযুদ্ধের বাইরে রেখে। এমনকি ভাঙনের মধ্য দিয়ে বিএনপির একাংশকে নির্বাচনে আনার ছক হতে পারে।

জিয়া আরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার প্রায় শেষের পথে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মামলার রায়ে দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিতই হবেন না, কারাজীবনে যাবেন। এমনকি বেগম খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপীল করলেও সেটি তার অনুকূলে তো যাবেই না, বরং ফয়সালা হবে ভোটের আগেই।

সরকারের ওপর মহল থেকে বলা হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সবার অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে যত উন্নয়নই হোক না কেন সরকারী দলীয় জোট ভোটযুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জে পরবে। তাই ভোট যত কাছে আসবে, খেলা তত জমজমাট হয়ে উঠবে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখা ও বিএনপি ভাঙার কূট রাজনীতি তৎপর হবে।

রমজানের ইফতার ঘিরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিন সরকার বিরোধী হার্ড লাইনে কথা বলেছেন। এতে করে মিডিয়া কাভারেজই পাচ্ছেন না, দলের নেতাকর্মীরাও চাঙা হচ্ছেন। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তিনি ঈদের পর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদমুখর হয়েছে বিএনপি। বিভিন্ন মহলও এটিকে নিন্দা জানিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার সেটি করতে পারবে কি না? কারণ সরকার সেই সুযোগ বিএনপিকে দিচ্ছে না। আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করে দেবে, সারাদেশের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা রয়েছে তা ফের সময় মতো সচল করে। আন্দোলনে গেলেই পুরোনো মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পথ নেবে সরকার। আইনের পথ ধরেই আন্দোলন ও নির্বাচনে বেকায়দায় ফেলবে বিএনপিকে। সরকারের বিভিন্ন মহলে আলোচনাকালে এমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগামী বছরের শুরু থেকেই রাজনীতির নানা খেলা দৃশ্যমান হতে থাকবে।