ঢাকা , সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা এসেছে, পিন নাম্বার বলো

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের ৪৩ ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা তুলে নিয়ে গেছে একটি প্রতারকচক্র।

এ বিষয়টি নিয়ে রোববার যুগান্তরের সঙ্গে কথা হয় প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ছাত্রীদের।

এর আগে গত ২৫ জুন ঈদের আগের ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রতারকচক্র নানা কৌশলে ছাত্রীদের কাছ থেকে গোপন পিন নম্বর সংগ্রহ করে ৪৩ ছাত্রীর উপবৃত্তির ৯০ হাজার ৩শ’ টাকা তুলে নেয়।

‘হ্যালো আমি ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে বলছি। তোমার মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা এসেছে। পিন নাম্বার বল। পিন নাম্বার না দিলে টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।’

এসব
কথা বললে ওই ছাত্রীরা তাদের গোপন পিন নম্বর দিলে উপবৃত্তির টাকা তুলে নেয় প্রতারকচক্র।

প্রতারণার শিকার কলেজছাত্রী রাহিমা আক্তার, ফারজানা আক্তার ও প্রিয়াংকাসহ সব ভুক্তভোগীরা বিষয়টি যুগান্তরকে জানিয়েছে।

রোববার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা আরও জানায়, প্রতারকচক্র ০১৭২২৬২৭২৯১ এবং ০১৯৯২৭৩৯৩৬০ এই দুটিসহ আরও কয়েকটি নাম্বার থেকে ফোন করে পিন নাম্বার নিয়ে টাকা তুলে নেয়।

জানতে চাইলে কলেজের অফিস প্রধান আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তির ১ম কিস্তির জনপ্রতি ২১শ টাকা করে ৪৩ শিক্ষার্থীর টাকা তুলে নিয়ে গেছে প্রতারকচক্র।

প্রতারণার শিকার ছাত্রী তাসলিমা আক্তার, নুসরাত জাহানসহ অন্য ছাত্রীরা জানায়, প্রতারকচক্র ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পাশাপাশি বিকাশ ব্যাংকেরও পরিচয় দিয়ে পিন নাম্বার নিয়ে নেয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান জানান, এখানে উপবৃত্তি প্রাপ্ত ১৬৭ ছাত্রীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা এসেছে, পিন নাম্বার বলো

আপডেট টাইম : ০১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের ৪৩ ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা তুলে নিয়ে গেছে একটি প্রতারকচক্র।

এ বিষয়টি নিয়ে রোববার যুগান্তরের সঙ্গে কথা হয় প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ছাত্রীদের।

এর আগে গত ২৫ জুন ঈদের আগের ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রতারকচক্র নানা কৌশলে ছাত্রীদের কাছ থেকে গোপন পিন নম্বর সংগ্রহ করে ৪৩ ছাত্রীর উপবৃত্তির ৯০ হাজার ৩শ’ টাকা তুলে নেয়।

‘হ্যালো আমি ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে বলছি। তোমার মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা এসেছে। পিন নাম্বার বল। পিন নাম্বার না দিলে টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।’

এসব
কথা বললে ওই ছাত্রীরা তাদের গোপন পিন নম্বর দিলে উপবৃত্তির টাকা তুলে নেয় প্রতারকচক্র।

প্রতারণার শিকার কলেজছাত্রী রাহিমা আক্তার, ফারজানা আক্তার ও প্রিয়াংকাসহ সব ভুক্তভোগীরা বিষয়টি যুগান্তরকে জানিয়েছে।

রোববার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা আরও জানায়, প্রতারকচক্র ০১৭২২৬২৭২৯১ এবং ০১৯৯২৭৩৯৩৬০ এই দুটিসহ আরও কয়েকটি নাম্বার থেকে ফোন করে পিন নাম্বার নিয়ে টাকা তুলে নেয়।

জানতে চাইলে কলেজের অফিস প্রধান আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তির ১ম কিস্তির জনপ্রতি ২১শ টাকা করে ৪৩ শিক্ষার্থীর টাকা তুলে নিয়ে গেছে প্রতারকচক্র।

প্রতারণার শিকার ছাত্রী তাসলিমা আক্তার, নুসরাত জাহানসহ অন্য ছাত্রীরা জানায়, প্রতারকচক্র ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পাশাপাশি বিকাশ ব্যাংকেরও পরিচয় দিয়ে পিন নাম্বার নিয়ে নেয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান জানান, এখানে উপবৃত্তি প্রাপ্ত ১৬৭ ছাত্রীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।